‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ছাত্র ইউনিয়নের | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ছাত্র ইউনিয়নের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ বছরের শোভাযাত্রায় নতুন নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

#শোভাযাত্রা #ঢাবি

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান ও ঐতিহ্যবাহী আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ করার সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ বছরের শোভাযাত্রায় নতুন নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের্র চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বছর বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রার নতুন নাম ঘোষণা করা হয়। এতদিন এই আয়োজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিত ছিল, যা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত।

নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তকে ‘ফ্যাসিস্ট সাম্প্রদায়িক মবের’ কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের আত্মসমর্পণ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাগীব নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, বর্ষবরণ শোভাযাত্রার পরিবর্তিত নাম আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সর্বত্রই এটি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামেই পরিচিত ও পালিত হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ঐতিহাসিক আয়োজন শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রয়াসে গড়ে উঠলেও এবারে শিক্ষার্থীদেরকে পরিকল্পনা প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। মোটিফ তৈরি ও অন্যান্য সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে এবং গণচাপের মুখে তাতে পরবর্তীতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকরা।

ছাত্র ইউনিয়ন অভিযোগ করে জানায়, শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনের পক্ষে তরমুজের ফালি তৈরির প্রস্তাব শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও চারুকলার পক্ষ থেকে তা অনুমোদন দেয়া হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থার অনুমোদন না থাকার অজুহাত দেখিয়ে প্রস্তাবটি বাতিল করা হয় বলে তারা জানায়।

নেতারা বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা কোনও সরকারের দান বা দয়া নয়— এটি গণমানুষের সংস্কৃতি চর্চার প্রতীক। এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে যে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হিসেবে বিকশিত হয়েছিল, আজ তা আওয়ামী শাসনামলে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের শিকার। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার যে পরিকল্পনা, তা গণবিরোধী এবং সাংস্কৃতিক পরাধীনতার শামিল।

#শোভাযাত্রা #ঢাবি