আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপে সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা | বিবিধ নিউজ

আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি আইন উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপে সন্তুষ্ট নন শিক্ষার্থীরা

কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নেন। তারা আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও জুলাই গণহত্যাসহ সব অপকর্মের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।

#আওয়ামী লীগ #সচিবালয় #শিক্ষার্থী

আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ এবং বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে স্মারকলিপি দিয়েছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

তারা বলেছেন, উপদেষ্টা তাদের আশার বাণী শোনাতে পারেননি। তাই আরেক জুলাই গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করা হবে।

সোমবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নেন। তারা আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও জুলাই গণহত্যাসহ সব অপকর্মের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

এরপর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এসব দাবি জানাতে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে ভেতরে যায়।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক সালেহ মাহমুদ রায়হান, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান ও রাফিদ এম ভুইয়া।

সচিবালয় থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকে বিকেল চারটায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্য মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ইতিবাচক কিছু বলবেন, এমন আশা ছিলো। কিন্তু তিনি কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা দাবি করেন মুসাদ্দিক। তিনি বলেন, আলাপ-আলোচনায় মনে হয়েছে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং দূতাবাসগুলোর প্রশ্নের মুখোমুখি হাতে চায় না বলেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছে না।

কিন্তু এটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। ৫ আগস্ট জনগণ রায় দিয়ে দিয়েছে, এ দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাই কালবিলম্ব না করে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

মুসাদ্দিক আরও বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি, গণ–আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়। আরেক জুলাই গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। আমরা শিগগিরই দাবি আদায়ে মাঠে নামব।’ শিগগরিই কর্মসূচি ঘোষণা করার কথাও জানান এই শিক্ষার্থী।

এ সময় সালেহ মাহমুদ রায়হান বলেন, সংবিধানের ১৩২ ধারা নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে। এই ধারা বাতিলের জন্য উপদেষ্টাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ধারাটি হলো সরকারি কর্মকর্তাদের নামে মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। এ ক্ষেত্রে বিসিএস কর্মকর্তা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর পুলিশ হলে আইজির অনুমতি লাগে। আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত অনেক মামলার আবেদন হয়েছে। কিন্তু সেগুলো থানায় যায়নি। তাই এই ধারায় সংশোধনী বা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ গর্তে ঢুকে গিয়েছিলো। কিন্তু এখন তারা দেশের আনাচকানাচে তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। সে জন্য আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে।

#আওয়ামী লীগ #সচিবালয় #শিক্ষার্থী