প্রতিবন্ধী স্কুল স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তিসহ পাঁচদফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, স্বীকৃতি ও এমপিও না হওয়ার ফলে শিক্ষক-কর্মচারীরা অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছেন, যা প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সে কারণে অনতিবিলম্বে সব অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এ দাবি জানান শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এ সময় তারা বলেন, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলো স্বীকৃতি ও এমপিওর জন্য আবেদনের প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে আবেদন গ্রহণ করে। পরবর্তীতে বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে জাতীয় স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়গুলোকে ক, খ, এবং গ এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করে, যা অত্যন্ত ধীরগতির। ফলে, সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারী অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছেন এবং প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
মানবেতর জীবন-যাপনকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের এই প্রচেষ্টা সরকারের হাত শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমাদের এই কর্মসূচি।
শিক্ষক-কর্মচারীদের পাঁচদফা দাবি হলো-
১. অনতিবিলম্বে সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে।
৩. বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষাভাতা তিন হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে।
৪.শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষোপকরণ, খেলাধুলা সরঞ্জাম দেয়া ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫.ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।