পিরোজপুরের কাউখালীতে চলমান মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল আকাইদ ও ফিকহ পরীক্ষায় নকল সরবরাহের অপরাধে লাঙ্গুলী নেছারিয়া কামিল মাদরাসার প্রভাষক মো. জামাল উদ্দিনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কাউখালী কেন্দ্রীয় আলীম মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বজল মোল্লা এ দণ্ডাদেশ দেন।
জানা গেছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রভাষক মো. জামাল উদ্দিন নিজের পকেট থেকে প্রশ্নপত্রের উত্তর পত্র স্থানীয় মাদরাসার অফিস সহকারীর পকেটে তুলে দেন। এ সময় পরীক্ষা হলে দায়িত্বরত কাউখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ বিষয়টি দেখতে পান।
পরে তিনি তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র উদ্ধার করেন এবং বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লাকে জানান। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বজল মোল্লার কাছে ওই শিক্ষক দোষ স্বীকার করলে আদালত তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
কাউখালী কেন্দ্রীয় ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব সুপার মাওলানা হোসাইন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আকাইদ ও ফিকহ বিষয়ের পরিক্ষা শেষে ১টা ১০ মিনিটের দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত দেবনাথ প্রভাষক মো. জামাল উদ্দিনের হাতে একটি বইয়ের পাতা দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি শিক্ষককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লা বলেন, পরিক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্নপত্রের উত্তরপত্র সরবরাহের দায়ে এক শিক্ষককে সাত দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।