এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে রোববার ও সোমবারে প্রতীকী অনশনের সঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল করবেন শিক্ষক- কর্মচারীরা। একই সঙ্গে মঙ্গলবার সপরিবারে মার্চ টু সেক্রেটারিয়েট কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন শেষে এ ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে, শুক্রবারও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষকদের শিক্ষা ভবন অভিমুখে পদযাত্রায় বাধা দেয় পুলিশ। এর পর আট সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনা জন্য সচিবালয়ে যান। পরে তারা ঘোষণা দেন শুক্র ও শনিবার প্রতীকী অনশনে বসবেন আর রোববার ফের সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে। সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়।
শিক্ষকরা বলেছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরবেন না তারা।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা অবস্থান নিয়েছেন।
সংগঠনের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী না, আন্দোলনস্থলে এসে ঘোষণা দিতে হবে, আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, মার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার প্রতিবাদে জাতীয়করণ শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক সমাবেশ করা হবে, সেই সমাবেশে শিক্ষকরা তাদের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন এবং দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন এবং কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষকরা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না তারা। সরকারকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সব এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে প্রেসক্লাবের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তারা।