সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময় ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত করাসহ একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ।
বৈষম্যের কারণে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান না এবং এলেও থাকতে চান না। এটা এখন মেধাবীদের একটা ট্রানজিট পেশায় পরিণত হয়েছে। তাই দাবিগুলো মেনে নিয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত হবে।
এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সমমনা আরো কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন। তারা দাবিগুলো ৯ জানুয়ারির মধ্যে মেনে না নিলে আরো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করতে হবে। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে শতভাগ পদোন্নতি দ্রুত চালু করতে হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বাতিল করতে হবে।
তারা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কী অন্যায় যে, তারা একই যোগ্যতা নিয়ে তিনটি গ্রেড নিচে বেতন পাবেন। এটাতো শিক্ষাকে ধ্বংস করার সেই আদিম সামন্ত জমিদারি প্রথা, নয় কি? ৯ম পে-স্কেলে মোট গ্রেড ১০টি রেখে সব বৈষম্য দূর করতে হবে। এটা এখন সময়ের দাবি।
একজন প্রাথমিক শিক্ষক যে পদে যোগদান করেন ওই পদ থেকেই সাধারণত তাকে অবসর নিতে হয়। কারণ, তার ভাগ্যে কোনো পদোন্নতির সুযোগ আসে না। মাত্র ১৫ শতাংশ সহকারী শিক্ষক চাকরি জীবনে একবার পদোন্নতি পান। সেটাও আবার স্ব-বেতনে। এ কারণে মেধাবীরা এই পেশায় আসতে চায় না এবং আসলেও থাকতে চায় না। এটা এখন মেধাবীদের একটা ট্রানজিট পেশায় পরিণত হয়েছে। শতভাগ প্রমোশন চালু না করলে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কারণ, মানসম্মত শিক্ষক এই পেশায় থাকছে না। আর যারা আছেন তাদের পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ যোগাতে অন্য কোনো কাজে আত্মনিবেশ করতে হয়। ফলে বিঘ্নিত হয় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রমোশন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে বন্ধ রয়েছে। যাতে করে সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অচিরেই শতভাগ প্রমোশন চালু করতে হবে।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে আর্থিক এবং মর্যাদা সমতা স্থাপন করে কর্মক্ষেত্রে সুন্দর পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। শিক্ষকদের সামাজিক অর্থনৈতিক মান উন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। তাহলে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত হবে।
শিক্ষকদের দাবিগুলো
সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করতে হবে। সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে শতভাগ পদোন্নতি দ্রুত চালু করতে হবে। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ বাতিল করতে হবে। টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করতে হবে এবং সহকারী শিক্ষকদের ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান করতে হবে। বিদ্যালয়ের সময় ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।