ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকরা বেতন-ভাতা নিয়মিত রাখাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশা সরকার বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিল ঘোষণাসহ শিক্ষকদের প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় হেনস্তার শিকার ঢাকার দোহারে জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম খালেকের মৃত্যুর জন্য দায়ী হেনস্থাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন শিক্ষকরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের ব্যানারে মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
শিক্ষকরা বলেন, হেনস্তার শিকার প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনুপস্থিতিতে স্কুল ও কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। পড়াশোনা, পরীক্ষা, খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ স্থবিরতা চলতে পারে না। অতিদ্রুত এই অচলায়তন দূর করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সমাজের সবস্তরের লোকদের সচেতনতা দরকার। আশাকরি, যথাযথ কর্তৃপক্ষ অতি শিগগির এ সমস্যার সুরাহা করবেন। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সমস্যা সমাধানে প্রস্তাবগুলো হলো- পদবঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের এমপিও থেকে নাম কর্তন না করে বেতন-ভাতা চালু রাখার ব্যবস্থা করা। পদ-বঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি বাতিল ঘোষণা করা। সসম্মানে স্বপদে বহাল করে কর্মস্থলের নিরাপত্তা বিধান করা। অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বার্থলোভী ও শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের উপযুক্ত শান্তি প্রদান করা। পদ-বঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের সমমানের এমপিওভুক্ত স্কুলে শূন্যপদে বদলির ব্যবস্থা করা।