খেলাধুলা একটি টিমওয়ার্ক। এর মাধ্যমে ভবিষ্যত নেতৃত্ব তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১৪ নম্বরে অবস্থিত শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ মাঠে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালক-বালিকা)-২০২৪ এর ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের ফাইনাল খেলা শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা।
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিক্ষার্থীদের খেলা দেখে আমি আনন্দিত এবং আশাবাদী।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের আপারা (সিনিয়র) ফুটবল খেলে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। তোমরাও আগামীতে সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে। ছেলেরাও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো ফুটবল খেলবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার চর্চা করবে। খেলাধুলা একটি টিমওয়ার্ক। খেলাধুলার মাধ্যমে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪’- এ ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের খেলায় বালিকা বিভাগে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের ঠোলনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন এবং কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রানার্স-আপ হয়।
বালক বিভাগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন এবং রাজবাড়ী জেলা সদরের লক্ষীকোল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রানার্স-আপ হয়।
বালিকা বিভাগে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের ঠোলনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সেওড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন, ঠোলনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাদিজা খানম। একই বিদ্যালয়ের সুমাইয়া খাতুন সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।
বালক বিভাগে মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৩-২ গোলের ব্যবধানে লক্ষীকোল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
নির্ধারিত সময়ে খেলাটি ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন লক্ষীকোল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. কাওসার। একই বিদ্যালয়ের মো. হুসাইন সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।
উল্লেখ্য, নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর স্লোগান 'এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই'-কে সামনে রেখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।
ঢাকা বিভাগের ১০ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালক-বালিকা দল টুর্নামেন্ট অংশ নেন। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের খেলা শেষে বিভাগীর পর্যায়ের খেলা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুর ২ নম্বরের ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে দেশের আটটি বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দল নিয়ে (বালক-বালিকা) চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা শুরু হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে বালক-বালিকা দলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।