তিন দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। অনশন পালনকালে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জবির দশ শিক্ষার্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, তানজীল, তাওহীদ, ফয়সাল ও একেএম রাকিব, সোহান, রাকিব, ইব্রাহিম, সোহাগ আহমেদ, রায়হান রাব্বী ও আশিক।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত দশটার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশন ভাঙেননি তারা। এদিন সকাল সাড়ে আটটায় অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জবি মেডিক্যাল সেন্টারের সিনিয়র অফিসার রাকিব হোসেন বলেন, তানজীলের প্রেশার হাই। তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ফয়সালকে স্যালাইন দেয়া লাগবে। প্রেশার ঠিক আছে কিন্ত চোখ দেবে গেছে। আরেক শিক্ষার্থী তাওহীদের প্রেশার বেড়ে গেছে। এখন স্যালাইন দেয়া লাগবে না। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। রাকিবের প্রেশার হাই। ভালো হয় পানি খেলে কিন্ত উনি পানি খেতে চাচ্ছেন না। অসুস্থ সোহানকে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের অনশনের নয় ঘন্টা
এদিকে দিন সোয়া ছয়টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন জবি উপাচার্য। শিক্ষার্থীদের কাছে কাজের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন তিনি। এরপর শিক্ষার্থীরা ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের আসার দাবি জানান। এ সময় উপার্যের সঙ্গে বসে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক ও শিক্ষক সমতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীনও।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখান করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু আমাদের দাবির সঙ্গে একমত আমাদের দাবি এখন ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের কাছে। তারা আমাদের জানাক।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দাবিতে অনশন করছেন। তাদের দাবি- সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যতদিন অবধি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততোদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।