অযোগ্য ও নকল গবেষকে গিজগিজ করছে দেশ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অযোগ্য ও নকল গবেষকে গিজগিজ করছে দেশ

‘আমাদেরকে দেখতে হবে, বাংলাদেশে সত্যিকারের উন্নত গবেষণা করে তা উন্নত মানের গবেষণা জার্নালে প্রকাশ করতে পারবে এমন গবেষক আছে কিনা। যাদের আমরা গবেষক ভাবি, তারা মারাত্মক লেভেলের অযোগ্য। আরো খারাপ বিষয় হলো, তারা যে অযোগ্য তারা নিজেরাও জানে না, আর যারা তাদের মূল্যায়ন করেন, তারাও জানে না।’

#গবেষক #কামরুল হাসান মামুন #ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, ‘আমাদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার নৈরাশ্যজনক অবস্থার কারণ কি কেবলই বাজেট বরাদ্দ? না, কেবল কম বাজেট বরাদ্দই একমাত্র দায়ী নয়।’

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক আইডি থেকে এসব বিষয়ে একটি দিয়েছেন তিনি।

তিনি লিখেছেন, ‘আমাদেরকে দেখতে হবে, বাংলাদেশে সত্যিকারের উন্নত গবেষণা করে তা উন্নত মানের গবেষণা জার্নালে প্রকাশ করতে পারবে এমন গবেষক আছে কিনা। যাদের আমরা গবেষক ভাবি, তারা মারাত্মক লেভেলের অযোগ্য। আরো খারাপ বিষয় হলো, তারা যে অযোগ্য তারা নিজেরাও জানে না, আর যারা তাদের মূল্যায়ন করেন, তারাও জানে না।’

এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে তিনি লেখেন, ‘ওপরে যেই চিত্র তুলে ধরলাম, এই ডিসমাল চিত্র থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদেরকে ট্যালেন্ট হান্ট প্রজেক্ট নিতে হবে। চীনের তো ট্যালেন্টেড মানুষের অভাব ছিলো না। তারপরেও কেন সহস্র ট্যালেন্ট হান্ট প্রজেক্ট নিতে হলো? আমাদের ট্যালেন্ট হান্ট করে সফল হতে হলে শিক্ষকতা ও গবেষণা পেশাকে আকর্ষণীয় করতে হবে।

তিনি আরো লেখেন, ‘বাংলাদেশে গবেষকদের কী অবস্থা তা বুঝতে হলে পরমাণু শক্তি কমিশন অথবা বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ বা সায়েন্স ল্যাবের দিকে তাকালেই বুঝবেন। এই দুই প্রতিষ্ঠানকে আমলাদের অধীনে করে এই পেশাকে পায়ের নিচে পিষে ফেলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল সম্ভব নয়। তাই যেটা করতে হবে, সেটা হলো শিক্ষকতা ও গবেষণা পেশাকে মন্ত্রণালয় থেকে মুক্ত করে, এই পেশাকে আকর্ষণীয় করতে হবে।’

‘শিক্ষকতা ও গবেষণায় যারা কাজ করবেন, তাদেরকে উচ্চ বেতন ও নানা সুবিধা দিতে হবে। বর্তমান যারা আছেন, তাদেরকে যতই বরাদ্দ বাড়িয়ে অর্থ দেই না কেন, তেমন সুফল বয়ে আনবে না। একই সঙ্গে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে মেধাবীরা তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

শেষে এই অধ্যাপক আরো লিখেছেন, ‘আশা করি যারা ডিসিশন মেকিং পদে আছেন, তারা আমার এই লেখার গুরুত্ব বুঝে সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।’

#গবেষক #কামরুল হাসান মামুন #ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়