বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন আয়োজন করেছে সবুজ ও পরিষ্কার স্কুল ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতা প্রকল্প। তিন মাসব্যাপী চলবে এই প্রকল্পটি।
ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন এতে (আইসেস্কো) সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আমাই) সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল সিদ্দিক জোবায়ের।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ হলো, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মানসিক জগতে একটা পরিবর্তন আনা, যে পরিবর্তন তাকে পরিবেশ সচেতন হতে শেখাবে।
এ ছাড়া আইসেস্কো সদর দপ্তরের প্রতিনিধি হেড অব সায়েন্স প্রফেসর ড. রাহিল কামার অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনসিইউর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নান।
ইউনেস্কো এএসপিনেটভুক্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্কুলের শিক্ষক প্রতিনিধি, পরিবেশবিষয়ক বিশেষজ্ঞসহ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনসিইউ জানায়, তিন মাসব্যাপী চলমান প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্কুল কমিউনিটির মধ্যে, বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তাবিষয়ক সচেতনতা তৈরি করা। এক্ষেত্রে ঢাকা শহরের মধ্য থেকে ইউনেস্কো এসপিনেটভুক্ত ১০টি নির্ধারিত স্কুলকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
পরিবেশগত অবক্ষয়, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সম্পদ হ্রাসের উদ্বেগজনক হার সবচেয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী সমাজের জন্য অবিলম্বে টেকসই পদক্ষেপ নেয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই আইসেস্কো ও বিএনসিইউর এ প্রকল্প সম্পর্কিত আয়োজন আগামী দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তাবিষয়ক সচেতনতার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন। এরই অংশ হিসেবে তিন মাসব্যাপী সবুজ ও পরিষ্কার স্কুল ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতা প্রকল্প শুরু হয়েছে।