শহিদকন্যা লামিয়া গ্রাম থেকে ঢাকা এসেছিল যে কারণে | বিবিধ নিউজ

শহিদকন্যা লামিয়া গ্রাম থেকে ঢাকা এসেছিল যে কারণে

লামিয়ার বাবার বন্ধু মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লামিয়াকে হাসপালে আনা হয় রাত ৯ টা ৪৫মিনিটে। তার কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় তার।

ধর্ষণের শিকার হওয়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়া (১৭)। তাদের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙাশিয়া গ্রামে। তার মামা মাহবুবের ভাষ্য, মূলত চিকিৎসার জন্য লামিয়াকে ঢাকা আনা হয়েছিল। কিন্তু এরইমধ্যে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে গেল।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেকে ভাড়া বাসায় লামিয়ার গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহীদ জসিমের ফুফাতো ভাই বলে দাবি করে একজন বলেন, ‘লামিয়ার বাবা মারা যাওয়ার পর সে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যদিও স্বাভাবিকভাবে সে খুব হাসিখুশি স্বভাবের মেয়ে ছিল। আমি তার খোঁজখবর রাখতাম। সর্বশেষ ঈদের সময় দেখা করে কথা বলেছিলাম।’

আরো পড়ুন: ধর্ষণের শিকার জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছিলাম, লামিয়া আসলে ওই ঘটনাটি মেনে নিতে পারেনি। এ ঘটনার জন্য লামিয়া নিজে হীনমন্যতায় ভুগছিল। তাই চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়েছিল।’ এ সময় তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

লামিয়ার বাবার বন্ধু মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, লামিয়াকে হাসপালে আনা হয় রাত ৯ টা ৪৫মিনিটে। তার কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় তার। ফলে লামিয়ার মা অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে হাসপাতাল।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া জুলাই আন্দোলনের শহীদ জসিম উদ্দিনের মেয়ে লামিয়ার (১৭) লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নেওয়া হয়েছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে। সেখানে গোসল শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হবে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

এ সময় লামিয়ার চাচা মোহাম্মদ সুলতান বলেন, ‘লামিয়ার মৃত্যুর পেছনে জড়িত অপরাধীদের ফাঁসি চাই। লামিয়ার মতো যেন এমন কারও সাথে না হয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে কলেজছাত্রী লামিয়া নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। পরে তিনি নিজে বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।