পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই লুকিয়ে আছে স্বৈরতান্ত্রিক বাংলাদেশের বীজ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই লুকিয়ে আছে স্বৈরতান্ত্রিক বাংলাদেশের বীজ

লীয় ছাত্র রাজনীতি করেই শিক্ষার্থীরা দুষ্ট রাজনীতি, ধান্দাবাজি, মাস্তানি, ফাও খাওয়া, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ইত্যাদি সবকিছু শিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। সুতরাং সমস্ত নষ্টের মূল এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কার না করলে কোন লাভ হবে না। সব খারাপের সূচনা এখানেই। আর এইসব পরিবর্তন এখন না হলে আর কখন?

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই লুকিয়ে আছে স্বৈরতান্ত্রিক বাংলাদেশের বীজ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, কেবল বাংলাদেশের সংস্কার করলে হবে না। বাংলাদেশের সংবিধানে যেমন সমস্ত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী নামক একজন ব্যক্তির পদে কন্সেন্ট্রেট করে রাখা হয়েছে, তেমনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে সব কিছু ভিসি নামক পদেই কন্সেন্ট্রেটেড। তাই দেশের সংবিধানের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সিস্টেমেরও সংস্কার করতে হবে। এজন্যই ভিসি হওয়ার জন্য এত অসুস্থ প্রতিযোগিতা।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে যেখানে ভিসি কেবল প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকে সেইজন্য সেখানে এই পদে একাডেমিক লোকজন যেতে চায় না। যারা গবেষণা ও শিক্ষকতা ভালো করতে পারে না তখন তারা ট্র্যাক পরিবর্তন করে ভিসি হয়।

বাংলাদেশে সমিতি নামক কমিটি যেইভাবে এপিডেমিক আকারে ছড়িয়েছে এটার মূলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বলেন তিনি। দেখেন না দোকানদার সমিতি, হকার সমিতি ইত্যাদি বিস্তৃত হতে হতে অ্যাপার্টমেন্ট ভবনেও সমিতি আছে। পৃথিবীর কোথায় এত সমিতি আছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, দলীয় ছাত্র রাজনীতি করেই শিক্ষার্থীরা দুষ্ট রাজনীতি, ধান্দাবাজি, মাস্তানি, ফাও খাওয়া, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ইত্যাদি সবকিছু শিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। সুতরাং সমস্ত নষ্টের মূল এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংস্কার না করলে কোন লাভ হবে না। সব খারাপের সূচনা এখানেই। আর এইসব পরিবর্তন এখন না হলে আর কখন?

২৪ এর গণ অভ্যুথানের পর আকাঙ্খা তৈরি হয়েছিল যে ক্যাম্পাসে দলীয় মোড়কে শিক্ষক বা ছাত্র রাজনীতি থাকবে না। কিন্তু এই দেশের রাজনীতিবিদরা এই ছাত্রদের ভবিষ্যত ধ্বংসের মাধ্যমেইতো রাজনীতি টিকিয়ে রাখে। তাই আস্তে আস্তে তারা আমাদের গণ আকাঙ্খাকে পায়ে দলে তারা ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি ফিরিয়ে আনছে। আর তারই একটা স্ন্যাপশট ছিল কুয়েটে।