রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে পিলখানা হত্যার বিচারে অস্থায়ী আদালত বসতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন মাদরাসাটির শিক্ষার্থীরা। বিশেষ আদালতের বিচারকাজ বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধও করেছেন তাঁরা।
রাতভর আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালেও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই মাঠ তাঁদের। মাত্র তিন মাসের জন্য অস্থায়ী আদালতের কথা বলে এই মাঠ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা এখনো চলছে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, বিচারকাজ চলমান থাকলে তাঁদের শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্ন হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেয়ার পরও কর্ণপাত করেনি তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফের অস্থায়ী আদালত বসানোর ঘোষণার পর থেকেই তাঁরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাতভর করেছেন আন্দোলন।
এদিকে, বুধবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঢাকার আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিডিআর হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হচ্ছে আজ। তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিচারকাজ শুরু হয়নি।
জানা গেছে, প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে বিডিআর মামলার বিচারকাজ আজ হবে না। গত জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অস্থায়ী ওই আদালত ভবনটিতে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হয় নৃশংস হত্যাকাণ্ড। ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়। পরে হত্যা মামলায় ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেন বিচারিক আদালত।