উপাচার্য দিলেন নিয়োগ, বেতন দিতে নারাজ কোষাধ্যক্ষ! | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

উপাচার্য দিলেন নিয়োগ, বেতন দিতে নারাজ কোষাধ্যক্ষ!

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন একক ক্ষমতাবলে এর আগে ‘পিএ টু ভিসি’ পদে একজনকে এবং আবারো ‘পিএ টু রেজিস্ট্রার’ পদে আরেকজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন।

#বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

যে পদগুলোর জন্য ইতোপূর্বে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তেমন দুটি পদে আবেদনকারীদের ভেতর থেকে কাউকে না নিয়ে, বাইরে থেকে দুজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার বিরোধিতা করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের অভিযোগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন একক ক্ষমতাবলে এর আগে ‘পিএ টু ভিসি’ পদে একজনকে এবং আবারো ‘পিএ টু রেজিস্ট্রার’ পদে আরেকজনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। তবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পদগুলোতে বেতন দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে একটি ফাইলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ। এর জবাবে উপাচার্য মন্তব্য করেছেন ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ট্রেজারারের এখতিয়ার বহির্ভূত’।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বুধবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে পিএ টু রেজিস্ট্রার পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিএ টু ভিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হয় আরেকজনকে। অথচ গত বছরের মার্চ মাসে পিএ টু ভিসি ও পিএ টু রেজিস্ট্রার পদ দুটিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং সেই পদগুলোতে আবেদনও করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ না দিয়ে, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য।

এছাড়া সম্প্রতি অবসরপূর্ব ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়া রেজিস্ট্রারকেও ছুটি স্থগিত করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম ১ ফেব্রুয়ারি পিআরএলে যান। অভিযোগ রয়েছে, তাকেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চেষ্টা চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের কাছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্যকে আপত্তি জানিয়েছি নিয়োগগুলো নিয়মবহির্ভূত হচ্ছে। উপাচার্য তার পছন্দের লোককে নিয়োগ দিতেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিচ্ছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক স্টাফকে এখনো স্থায়ী করা হয়নি। তাদেরকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ তিনি সমর্থন করেন না।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি।

#বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়