মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. ইয়াসমিন আক্তার বলেছেন, এখানকার স্কুল-কলেজে ছেলেদের কম পাওয়া যায়। সবাই যেকোনোভাবে ইতালি যেতে চান। এরপর তারা ভয়াবহ বিপদে পড়েন। এই সংকট সমাধানে যিনি বিদেশে যাচ্ছেন তিনিসহ তার পরিবারের সচেতনতা জরুরি। বিদেশে গেলে জেনেবুঝে দক্ষ হয়ে যেতে হবে।
বুধবার নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশফেরতদের পুনরেকত্রীকরণের লক্ষ্যে আয়োজিত জেলা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি এসব কথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের আওতায় ডিসির কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা হয়।
লিবিয়া থেকে সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়াসহ অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়া বন্ধে সবার সচেতনতা ভীষণ জরুরি বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ইয়াসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে প্রায়ই বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা এসে জানান, তাদের স্বজনেরা লিবিয়ায় বিপদে পড়েছেন। তারা জানেন না বৈধপথে এখন লিবিয়া যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়া বিপদ বিষয়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় বেশি বেশি করে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার আহ্বান জানান ডিসি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার ক্ষেত্রে মাদারীপুরের পরিস্থিতি খুব খারাপ। চার বছর ধরে একজন আটকা। তাঁর পরিবার ৫৭ লাখ টাকা খরচ করেছে। ছেলেটা বেঁচে আছে কিনা, খোঁজ নেই। এ ধরনের ঘটনা অসংখ্য। এসব ঘটনা সহজে পুলিশকে জানায় না পরিবার। কারণ এতে অনেক সময় লিবিয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়ে। তাই যাওয়ার আগে সচেতন হতে হবে। আমরা পাচারকারীদের গ্রেপ্তারে সক্রিয় আছি।’
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক শরিফুল ইসলাম হাসান। বক্তব্য দেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাইনুদ্দিন সরকার, জেলা কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের অধ্যক্ষ স ম জাহাঙ্গীর আখতার, ডাসার উপজেলা প্রবাসবন্ধু ফোরাম সভাপতি বিধান চন্দ্র সরকার, কালকিনি উপজেলা প্রবাসবন্ধু ফোরামের সভাপতি মজিবর রহমান খান প্রমুখ।