সেখানে নেতৃত্ব যদি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত না হয়, তাহলে সেই রাজনৈতিক দল কীভাবে গণতন্ত্র দেবে? নির্বাচন নির্বাচন করছে যারা, তারা নিজের দলের নির্বাচন আগে দিয়ে প্রমাণ করুক যে- তারা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করে।’
শনিবার (২৬ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া একটি পোস্টে এসব কথা লিখেছেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘বলা হচ্ছে, কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।
এটাও তারা মানবেন না। তারা চান রাশিয়ান পদ্ধতি, যেখানে দুই মেয়াদ থাকার পর একজন আজ্ঞাবহ ডামি কাউকে কিছুদিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে তারপর আবার দুই মেয়াদ। এভাবে চলবেই।
ডাটা নিয়ে দেখেন, যেই দেশের সরকার প্রধান দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থেকেছে, সে স্বৈরাচার হয়েছে বা হওয়ার পথে। যত বেশি বছর ক্ষমতায় থাকবে, তত বেশি স্বৈরাচার হওয়ার সম্ভবনা।’
রাজনৈতিক দলগুলো এখনো ৭০ অনুচ্ছেদ সম্বন্ধে একমত হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো এখনো এমপিদের ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কেনা বন্ধের বিষয়ে কিছু বলেনি।
কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা ভিন্ন তিনজন হবেন। এই ব্যাপারেও তারা একমত না। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো চায় ক্ষমতাকে এক বিন্দুতে কুক্ষিগত করতে।
তাহলে স্বৈরাচার সৃষ্টির রাস্তা খোলা রেখে কদিন পর পর আন্দোলন করে মানুষ কি জীবন দিয়ে বার বার সম্ভবনা তৈরি করবে আর রাজনৈতিক দলগুলো সেই সম্ভবনাকে মেরে ফেলবে?এত লোভী রাজনৈতিক দল পৃথিবীতে কমই আছে। দলে নতুন নেতৃত্ব, নতুন চিন্তার ইনজেকশন না থাকলে, দল তো মাফিয়া হয়ে উঠবেই।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘এখনো কোনো রাজনৈতিক দল শিক্ষায় জিডিপির কত শতাংশ বরাদ্দ দিবে, তা নিশ্চিত করে বলেনি।
এখনো কোনো রাজনৈতিক দল বলেনি যে, মানুষের বেতন বৈষম্য কমাবে, কেউ আট হাজার টাকা বেতন পাবে আর কেউ লক্ষ টাকার বেতন আর কয়েক লক্ষ টাকার আর্থিক সুবিধা পাবে- এই বৈষম্য আর মানা যাবে না।
এসব মৌলিক ইস্যু নিয়ে কথা না বলে দিনরাত কেবল নির্বাচন নির্বাচন করে চিল্লাচ্ছে।’