অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অনিয়মই যেখানে নিয়ম অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের যে কোনো অসুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করছে

#ইউআইইউ #ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

অনিয়মে নিমজ্জিত ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিষ্ট্রার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

কৌশলী পদত্যাগপত্রে’ অবরুদ্ধ ইউআইইউ ভিসিসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা

নিয়মই যেখানে নিয়ম

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের যে কোনো অসুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করছে।

ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ আগামী নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হবে এ ঘোষণায় জানানো হয়েছে।

এদিকে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খতিয়ান। পড়ুন বিস্তারিত :

প্রবাদে বলে ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’। এবার নিজের ধূর্ত কৌশলে এই কথাটা আরো একবার প্রমাণ করলেন উচ্চশিক্ষার গলাকাটা দোকান হিসেবে পরিচিতি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া। শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে লাগামহীন মুনাফার ব্যবসায় পরিণত হওয়া প্রতিষ্ঠানটির কৌশলী ভিসি তার পদত্যাগপত্রে কিছু শিক্ষার্থীকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড গ্রুপের আর্থিক সহযোগিতায় উচ্চ শিক্ষায় বিদেশমুখী প্রবণতা কমানো, দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে, এখনকার বাস্তবতা ভিন্ন। টিউশনসহ বিভিন্ন খাতে, নানা অজুহাতে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের ফি। অতিরিক্ত ফি দিয়েও কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও দিনে দিনে বাড়ছে দূরত্ব।

 শিক্ষার্থী অসন্তোষের এই ধারাবাহিকতায় বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি। তার সঙ্গে সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকও পদত্যাগ করেছেন। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

পরবর্তীতে রাত সোয়া ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। তবে এই পদত্যাগ ঘোষণার পরেও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামেনি।

 কারণ শিক্ষার্থীদের অন্দোলনের মুখে উপাচার্য তার দলবল নিয়ে পদত্যাগ করলেও পদত্যাগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত কিছু শিক্ষার্থীকে ফাঁসানোর কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।

তাই পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী অগ্রহণযোগ্য ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করায় তিনি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 এই ‘কিছু শিক্ষার্থী’ শব্দবন্ধের প্রতি আপত্তি জানিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের স্পষ্ট দাবি, পদত্যাগপত্রে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী নয়’ বরং ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে’ এই বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।

 তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাদের ভাষ্য, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। এই কারণে উপাচার্য তার পদত্যাগপত্রে সঠিক তথ্যটিই উল্লেখ করেছেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের এই যুক্তি মানতে নারাজ।

 পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে, রাত ৯টার পর থেকে গভীর রাত অবধি উপাচার্যসহ অন্তত ২৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।

মূলত তিন দফা দাবিতে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। গত শনিবার সকাল ৯টা থেকে তারা ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

 পরবর্তীতে তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে রাত ৯টার দিকে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন।

 এর আগে শনিবার সকাল থেকে ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাদের আন্দোলন শুরু হয়। পরে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিগুলো হলো- ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ ছাড়াও ইউআইউ রিফর্ম ১.০ ও জুলাই বিপ্লবে বাধা দেয়া, এক ছাত্রীর বাবা মারা যাওয়ার পর তার কাছে কাউন্সিলর থেকে ডেড সার্টিফিকেট চাওয়া, আইসিইউ ফেরত শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো, বিশ্ববিদ্যালয়ে একক সিন্ডিকেট তৈরির অভিযোগে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল হুদার পদত্যাগ ২. মিড টার্ম পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

এটি আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে ৩. ইউআইউ রিফর্ম ১.০ এ যেসব দাবি মানা হয়েছিল, সব দাবি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিশেষভাবে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার ফি মিড টার্মে কোর্সপ্রতি ২ হাজার টাকা ও ফাইনাল পরীক্ষায় ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে।

তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তাদের মতামতকে উপেক্ষা করেছে।

 শিক্ষার্থীরা চান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে পুনরায় আলোচনায় বসবে। তাদের উত্থাপিত সমস্যাগুলোর একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করে। তারা মনে করেন, কর্তৃপক্ষের একতরফা সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না।

 সর্বোপরি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই ধরনের হয়রানি বন্ধের সুস্পষ্ট নিশ্চয়তা চান।

উপাচার্যসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি বড় ধরনের বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে তাদের মূল দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তারা বদ্ধপরিকর।

 এর আগে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মার্চ দৈনিক শিক্ষাডটকমে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি : অনিয়মই যেখানে নিয়ম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ৭৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির।

এরপর প্রায় এক যুগ গত। সময়ের ব্যবধানে শিক্ষার্থী সংখ্যা এখন সাড়ে ছয় হাজার। উচ্চ শিক্ষায় সুনাম ও খ্যাতি দূরে থাক, লাগামহীন মুনাফার এক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পরিচিতি পেয়েছে উচ্চশিক্ষার গলাকাটা দোকান হিসেবে। টিউশনসহ বিভিন্ন খাতে, নানা অজুহাতে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের ফি।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সনদ বাণিজ্য, কোচিং সেন্টার চালানো আবার অনুমোদন নিয়েও না চালানো ইত্যাদি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করেছিলো বিএনপি-জামাত সরকার।

সাবেক শিক্ষা সচিব ইরশাদুল হক, ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্সের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান ও সাবেক বিচারপিত আবদুর রউফ ছিলেন ওই কমিটির সদস্য। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ছিলেন ওই কমিটির প্রধান। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস্ চ্যান্সেলর হাফিজ জি এ সিদ্দিকীও ছিলেন কমিটিতে।

শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে রয়েছে ওই কমিটির সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয় ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে। নানা তদবির আর ‘ফিকির’ দিয়ে পার পায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

 ২০০৪ খ্র্রিষ্টাব্দের জুন মাসে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত ৯ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় ভাড়াকৃত একটি ভবনের চতুর্থ তলায় মোট ২৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৩ এর ১৫ মার্চ অনুমোদিত হলেও বিধান অনুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থানান্তরিত করার জন্য ধানমন্ডিতে ১ দশমিক ২ বিঘা জমি ক্রয় করেছে বলে জানানো হলেও দলিলপত্র দেখাতে পারেনি।

সরেজমিন বেহাল চিত্র দেখে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের সনদপত্রে উপাচার্যের স্বাক্ষর ও তা প্রদানের ক্ষমতা স্থগিত করার সুপারিশ করে।

 প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহকৃত তথ্যে ১৫ জন পূর্ণকালীন এবং ৫ জন খণ্ডকালীন শিক্ষক দেখানো হয়েছে। পরিদর্শনের সময় অধিকাংশ শিক্ষককে হাজির থাকতে দেখা যায়। তবে পূর্ণকালীন যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকের সংখ্যা কম এবং খণ্ডকালীন শিক্ষদের এনওসি দেখাতে পারেনি।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর, কোষাধ্যক্ষ নিয়োজিত নেই। রেজিস্ট্রার নিয়োজিত আছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে সিন্ডিকেট নেই। তবে বোর্ড অব গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছে।’

 উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী থেকে আদায়কৃত টিউশন এবং অন্যান্য ফি মোটামুটি গ্রহণযোগ্য। শতকরা ৫ ভাগ শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার বিধান থাকলেও তা দেয়া হচ্ছে না। এটা আইনের পরিপন্থি।

আরো উল্লেখ রয়েছে, তবে ৩০ জনকে আংশিক বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের সংরক্ষিত তহবিলে ৫ কোটি টাকা জমা আছে।

 ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, বিতর্ক ইত্যাদির প্রয়োজনীয় কক্ষের অভাব আছে। ভাইস চ্যান্সেলর ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দিতে হবে। অন্যথায় সনদপত্র স্বাক্ষর ও তা প্রদানের ক্ষমতা স্থগিত করা যেতে পারে। হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন যথাসময়ে কমিশন অফিসে জমা দিতে হবে।

 দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, গত দেড় যুদেরও বেশি সময়ে অনিয়ম কমেনি, বেড়েছে বহুগুণে।  এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়, বিষয়টি সবারই জানা। তবু প্রতি বছরই টাকার অঙ্ক বাড়ানো হয়।

কিন্তু কেন ফি বাড়ছে এর কোনো সদুত্তর নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিসি দেওয়ার হুমকি দিয়ে বলা হয়, এই ইউনিভার্সিটির সঙ্গে অমুক সচিব, তমুক রাজনীতিক রয়েছেন। তাই শিক্ষার্থীরাও থাকেন ভয়ে ভয়ে।

 এদিকে শতকরা ৫ ভাগ শিক্ষার্থীকে বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। রাজধানীর পান্থপথে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই একটি শাখা খুলে মেরিন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সনদ দেওয়া শুরুর অভিযোগও পুরনো।

যেখানে ভর্তি হয়ে বিপাকে পড়েন শত শত শিক্ষার্থী। বেশি ভোগান্তি হয় ছাত্রীদের। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনেরও তোয়াক্কা করে না অনিয়মে নিমজ্তি এই প্রতিষ্ঠান। নিয়োগের ক্ষেত্রেও তারা নিয়ম ভাঙ্গতে বেপরোয়া বলে অভিযোগ আছে।  

 এর আগে ইউনাইটেড হাসাপাতালের একজন নারী রোগীকে ধর্ষণ করার পর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। তবে, পরে উচ্চ আদালতে হাজির হতে হয় ধর্ষণকারীকে। ইউনাইটেড হাসাপাতাল ও ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয় একই মালিকানাধীন।

#ইউআইইউ #ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি