খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন শিক্ষার্থীর কাছে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হলেন তাঁর শিক্ষক, যিনি শিক্ষার্থী মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে সদা নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। সেই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা দূরের কথা, তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করাও শিক্ষার্থীসুলভ আচরণ নয়। একজন উপাচার্য সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে অভিজ্ঞ ও বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষককে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ফলে, তাঁদের মতো দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্বেগের!
উপাচার্য আরো বলেন, ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে শুরু করে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সব আন্দোলন-সংগ্রামে তরুণ শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগ করা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থ করতেই এমন ঘটনা।
এই হীন উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে শিক্ষার সঠিক পরিবেশ রক্ষার জন্য উল্লিখিত ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
উল্লেখ্য, ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সহিংসতার জেরে উপাচর্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসুদকে অবরুদ্ধ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন একদল বিপথগামী বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী।