মন্তব্য লিখতে লগইন অথবা রেজিস্টার করুন

মন্তব্যের তালিকা

Tabiatkowser, ০৪ মে, ২০২৪
এগুলো সব আমলাদের কারসাজি। যারা মানুষ গড়ার কারিগর এসব আমলাদের কারণে সরকার শিক্ষকদের অধিকার দিচ্ছেন না। অথচ দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব ইলেকট্রনিক সঞ্জামাদি সরকার প্রদান করে যাচ্ছে, যেখানে স্কুল কলেজে ঠিকমতো এসব ইলেকট্রনিক সরঞ্জামাদি ঠিকমতো ব্যবহার করছেন না সেখানে মাদ্রাসার তো আর কোন প্রশ্নই উঠে না। তাহলে এত দামি দামি ইলেকট্রনিক জিনিস দেওয়ার পিছনে কি রহস্য রয়েছে? স্পষ্ট তো বুঝা যাচ্ছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব জিনিস দিতে পারলে এসব আমলারা ১০ হাজার টাকার স্থলে এক লক্ষ টাকা বিল করতে পারবে। যেমন ইতিপূর্বে কত ধরনের কান্ড বটিয়েছিল যেমন বালিশ কাণ্ড। উল্লেখ্য যে সরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ দিয়েছে অথচ দেখা যায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ প্রতিষ্ঠান প্রধান নিজের ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করে নিজেই ব্যবহার করেন কিংবা মোড়কে মাধ্যমে বন্ধ করে রেখেছেন।
Tabiatkowser, ০৩ মে, ২০২৪
দেশের মধ্যে যেভাবে শহরে লোডশেডিং চলছে সেখানে গ্রামের কথা বাদই দিলাম। গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দশটা থেকে চারটা পর্যন্ত যেখানে ক্লাস চলমান থাকে সেখানে ভালোভাবে এক ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকছে না। দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত না করে এইসব মাল্টিমিডিয়া দিয়ে কি হবে? অপরদিকে সরকার দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে বিনা পয়সায় প্রশিক্ষণ ও সম্মানী দেওয়ার পরও দেশের প্রতিষ্ঠানের ৯০% এর উপরে শিক্ষকরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লাসে পাঠদান করতে যেমনি অক্ষম তেমনি তারা অনেকেই অনীহা প্রকাশ করে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব মূল্যবান সরঞ্জামাদি দেওয়া মানে উলুবনে মুক্তা ছড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয় ।
Tabiatkowser, ০৩ মে, ২০২৪
এছাড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যে পরিমাণ শিক্ষক রয়েছে তাদের মধ্যে ১০ জনের একজন প্রযুক্তি জ্ঞানকে কাজে ব্যবহার করতে পারলেও বাকিরা পিছিয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য এসব শিক্ষকরা অনেক প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেও ক্লাসে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরিবর্তে অ্যানালগ পদ্ধতির মাধ্যমে তথা মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ছাড়া শিক্ষা দান করতে অভ্যস্ত। এছাড়া জেলা উপজেলায় যারা শিক্ষার গুরু দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কোন কার্যকরী মনিটরিং নাই বললেই চলে। তাই সরকারের লক্ষ কোটি কোটি টাকা দেশের প্রতিষ্ঠানে খরচ করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। উল্লেখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব সরঞ্জামাদি দেওয়ার আগে শিক্ষকদের যাবতীয় অধিকারের কথা চিন্তা করলে হয়তো শিক্ষকদের দ্বারা আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে। অন্যতায় সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরেও আশানুরূপ কোন ফল কোনদিনই বয়ে আনবে না। কারণ কোন কিছু আদায় করতে হলে আগেই দিতে হবে। এছাড়া জোর করে কোন বিষয় আদায় করা যায় না আপসে আদায় করতে হয়। আশা করি উপর উল্লেখিত বিষয়গুলো সরকারের ঊর্ধ্বতন বিষয়গুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।