কুয়ার মধ্যে কাক মরা রেখে কোন দিন কুয়া থেকে ভালো পানি আশা করা যায় না। প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহকারী প্রধান, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির হাতে নিয়োগের ক্ষমতা রেখে NTRCA বাতিল করে সেই পুরানো ধারাই তো বহাল রাখা হলো। যেখানে আইনের ২ এর( ণ) বলা হয়েছে যে, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পর্যায়ের শূন্য পদে নিয়োগ দিবে। যদি আইনে বলা হতো যে পদের জন্য যে সকল যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন সে গুলি নির্ধারণ পূর্বক সকল নিয়োগ নূতন কর্তৃপক্ষ দেবে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি কোন নিয়োগ দিতে পারবে না তবে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘার থেকে সকল দানব দূর হয়ে যেত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে ফিরে আসতো শিক্ষার পরিবেশ এবং শিক্ষকরা যে পরিবেশ পেলে সঠিকভাবে শিক্ষাদানে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারত তেমন পরিবেশ সৃষ্টি হতো ।
Binoy Krishna Bhowmick, ৩০ জুলাই, ২০২৪
এই আইনের সাথে প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সরকারের মাধ্যমে করা প্রয়োজন। কারন উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং ডিজির প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক মিলে দূর্নীতি র মাধ্যমে প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকনিয়োগ দিয়ে থাকেন। একই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই সঠিক লেখার পরও কাউকে ৫এ ৫ আর কাউকে ৫এ ২/১ দিয়ে আটকানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বা ডিজির প্রতিনিধি আগের দিন প্রশ্ন দিয়ে দেয়।অনেক ক্ষেত্রে স্হানীয়, প্রভাবশালী, ধর্মীয় পরিচয় এগুলো কাজ করে যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ লেখা পড়ার মান অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ আমি নিজেও বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বড়লেখা, মৌলভীবাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে প্রতারণার শিকার হই। তাই সব নিয়োগ জাতীয় ভাবে নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।