রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হতে পারে আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে। বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী কারাগারে একসঙ্গে দুজনেরই ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে দুই আসামির পরিবারের ৩৫ জন সদস্য তাদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আব্দুল জলিল কোনো কথা বলতে চাননি।
২০০৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি বাসা থেকে নিখোঁজ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ। পরে ৩ ফেব্রুয়ারি বাসার পেছনে ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের অর্ধগলিত লাশ। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অধ্যাপক তাহেরের একটি জিডির সূত্র ধরে বিভাগের শিক্ষক মহিউদ্দিন ও রাবির ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী, কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরসহ আটজনকে গ্রেফতার করে। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি আসামি জাহাঙ্গীর, নাজমুল ও সালাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ ছাত্রশিবির নেতা মাহবুব আলম সালেহীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। বিচার শেষে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চার আসামিকে ফাঁসি ও দুজনকে খালাস দেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসির রায় বহাল রাখলেও নাজমুল ও সালামের ফাঁসির রায় পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন করেন। কিন্তু তাদের দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।