রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার চুড়ান্ত রায়েও রাবি শিক্ষক মহিউদ্দিনের ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকায় তাকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করেছে রাবি প্রশাসন।
গত মে মাসের ২৬ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করে।
উল্লেখ্য, রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় সম্প্রতি ২ আসামি মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের প্রাণ ভিক্ষা আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি। সেই চিঠি ডাক বিভাগ হয়ে গত বুধবার রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছেছে।
এ মাসের যে কোনদিন ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন। দণ্ডিত অন্যরা হলেন- জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল ও তার স্ত্রীর ভাই সালাম। তবে খালাস পান তৎকালীন রাবি শিবির সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী।
পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে নাজমুল এবং সালামের রায় কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। এ দুজনের দণ্ড বৃদ্ধির জন্য আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু শুনানী শেষে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রায়ই বহাল রাখেন।