গাজীপুরে অন-ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স আইনসঙ্গত ও যথার্থভাবে হয়েছে বলে দাবি করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসব কোর্স বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পাঠানো চিঠির জবাবে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিতে ইউজিসির ওই চিঠির জবাব দেয়া হয়। ইউজিসির পাঠানো চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের যেসব ধারা বর্ণিত হয়েছে সেটিকে আংশিক ও খণ্ডিত বলে মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনার্স চালু নিয়ে আইনের ধারা উল্লেখ করে ইউজিসিকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ৩৭ নম্বর আইনের (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২) ৩ ধারায় এই আইনের প্রাধান্য সম্পর্কে বলা রয়েছে ‘আপাততঃ বলবৎ অন্য কোনো আইনে বিপরীত যাই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হবে’। ওই আইনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইন ও সংবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজসমূহে স্নাতকপূর্ব, স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্র ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা পরিচালিত হবে’। ৬(খ) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা রয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষাদানের জন্য পাঠক্রম নির্ধারণ করা’। ৬(গ) ধারায় বর্ণিত রয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে জ্ঞানের বিকাশ, বিস্তার ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে শিক্ষাদান ও গবেষণার ব্যবস্থা করা’। আইনের ২৯ ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ইউনিট স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের কার্যাবলী বিবৃত হয়েছে এবং ২৯(১)(ক) ধারায় উল্লেখ রয়েছে এই কেন্দ্র ‘সম্মান ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবে’। আইনের এসব ধারা থেকে প্রতীয়মান হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির গৃহীত সিদ্ধান্ত আইনসঙ্গত ও যথার্থ’।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস গাজীপুরে অনার্স কোর্স চালুর বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেয় ইউজিসি। চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে অনার্স কোর্স বন্ধের কথা বলা হয়েছে। ওই চিঠির জবাব দিলো বিশ্ববিদ্যালয়।