জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনলাইন ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সশরীরে ক্লাস নেয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান করতে দেখা যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবির ফেসবুকে লেখেন, ক্লাস অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে হওয়া উচিৎ। অনলাইন-এ নয়। সামনা-সামনি। শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়াতে লজ্জা পান? মানের ভয়, প্রাণের ভয়? আহা রে! বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মুখ না দেখে ক্লাস করবো না। নো, অনলাইন ক্লাস!
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা যায়, বয়কট অনলাইন ক্লাসসহ বিভিন্ন বিভাগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনলাইন ক্লাস বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছেন।
মো. রাশেদ রানা নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘করোনা চলিতেছে নাকি, যে অনলাইনে ক্লাস হবে? নাকি দেশে হরতাল চলছে যে শিক্ষকরা আসতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত বর্জন করলাম।’
এ দিকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস প্রত্যাখ্যান করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এ বিষয়ে তাফহিম রাফি বলেন, ‘ভিসি ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, হল মুক্ত ও অন্যান্য ন্যায্য দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত, আমরা সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘শুধু আমরা না, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস নেবে। আর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হোক, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। তখন আমরা অনলাইন ক্লাস থেকে অফলাইনে চলে যাবো।’