অনিয়মের প্রতিবাদে ভর্তি বাতিলের আবেদন চবি শিক্ষার্থীর - দৈনিকশিক্ষা

অনিয়মের প্রতিবাদে ভর্তি বাতিলের আবেদন চবি শিক্ষার্থীর

দৈনিক শিক্ষাডটকম, চট্টগ্রাম |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, চট্টগ্রাম : অফিস স্টাফদের অপেশাদার, হীন এবং অসহযোগিতামূলক আচরণ ও বিভাগের নানান অনিয়মের কারণে ভর্তি বাতিল করতে চান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী। দুইদিন আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ইংরেজি বিভাগের সভাপতিকে মাধ্যম করে কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের কো-অর্ডিনেটর বরাবর ই-মেইলে ভর্তি বাতিলের আবেদন করেছেন  মো. নুরুদ্দীন শহীদ নামের ওই ছাত্র। শুক্রবার ভর্তি বাতিলের আবেদনের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন শহীদ নিজেই।

তিনি বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এখানে সেই স্বপ্নগুলো মূল থেকেই উপড়ে ফেলা হয়। ৪ বছরের স্নাতক কোর্সে শিক্ষার্থীদের সময় চলে যায় ৭ বছর। পরিশেষে চরম হতাশা নিয়েই শতশত শিক্ষার্থীদের প্রস্থান করতে হয়। বিভাগের নানান অনিয়ম, অফিস স্টাফদের অপেশাদার, হীন এবং অসহযোগিতামূলক আচরণের ব্যাপারে দীর্ঘদীন যাবত লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ করেও কোনো সমাধান পাইনি। 

তিনি বলেন, বারবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটা এবং সর্বোপরি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেয়া, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনকে বিরক্তিকর ভাবা ইত্যাদি কারণে আমি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণি থেকে আমার ভর্তি বাতিল করতে মনস্থির করেছি। তবে বিদায়ের এই ক্ষণে নীতি নির্ধারকগণের প্রতি অনুরোধ থাকবে, ইংরেজি বিভাগের অরাজকতার এই বলয় ভেদ করতে যেন তারা সচেষ্ট হন। শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে পরম যত্নে লালিত স্বপ্নগুলোকে যেন দুষ্টচক্রের কবলে পড়ে নিঃশেষ হতে না হয়। 

তিনি আরো বলেন, আমার ভর্তি বাতিলের আবেদন প্রতীকী প্রতিবাদ। বিভাগের এআচরণে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ ও বিক্ষুব্ধ। আমরা সব অনিয়মের সুষ্ঠু সুরাহা চাই।

জানতে চাইলে চবির ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এইরকম তো কোনো কিছুই হয়নি। কিছুদিন আগে অফিসের এক স্টাফের সঙ্গে তার একটু ঝামেলা হয়। আমি নিজেই বিষয়টা সমাধান করেছি। আমরা এখন সাত আট মাসেই পরীক্ষা নিচ্ছি। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বিসিএস দেয়ার জন্য নিজেরাই পরীক্ষা পিছাতে বলেছে। অবরোধের মধ্যেও বিভাগে নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে সে কোনো ইস্যু করছে। আবার এটাও হতে পারে মিডিয়ার লাইমলাইটে আসার জন্য এগুলো করছে। যদি আসলেই এমন হয়ে থাকে সাংবাদিকরাসহ সে আসুক কোথায় কী সমস্যা প্রমাণ দিক। ছেলেটার এমন আচরণে আমি স্তম্ভিত। আমার খুব দুঃখ লাগলো। সে তো আমার কাছে আসতে পারতো। সম্ভবত পারিবারিক বা অন্যকোনো কারণে মানসিক সমস্যায় আছে।

‘ছাত্রলীগ করে, ওকে মেরে ফেল’ - dainik shiksha ‘ছাত্রলীগ করে, ওকে মেরে ফেল’ সিটি কর্পোরেশন এলাকাভূক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ - dainik shiksha সিটি কর্পোরেশন এলাকাভূক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সবাইকে নজর রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় সবাইকে নজর রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে কাউকে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না: কাদের - dainik shiksha কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে কাউকে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না: কাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সম্মানী নিয়েও প্রতারণা - dainik shiksha শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সম্মানী নিয়েও প্রতারণা দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশনা - dainik shiksha দেশের সব ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশনা সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ - dainik shiksha সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজসমূহ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল বন্ধ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকাল বন্ধ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036158561706543