দানকৃত অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তা জানাতে একুশে পদক পাওয়া বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে কুমিল্লার একজন অর্থদাতার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কিশোর কুমার বরাবরে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ফাউন্ডেশনকে দেয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তার হিসাব ৩০ দিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, সামাজিক কাজে অংশ নেয়ার লক্ষ্যে এই দাতা ফাউন্ডেশনকে ব্যাংক এবং বিকাশের মাধ্যমে তিন ধাপে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা দেন। কিছুদিন যাবৎ গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে টাকার সঠিক ব্যবহার না করার অভিযোগ এসেছে।
নোটিশে বলা হয়, অডিট রিপোর্টে সকল ব্যয়ের খাত স্পষ্ট রাখা হলে এই দাতা অডিট রিপোর্ট চেক করে তার দেয়া অর্থের তথ্য পাননি। এ ছাড়া এ বিষয়ে বারবার জানতে চাইলেও ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
এই কারণে দাতার দেয়া অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তা ৩০ দিনের মধ্যে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে পরিচিতি পাওয়া বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৩ সালে। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া কাপড়গুলো ব্যবহার উপযোগী করার পর অভিনেতা–অভিনেত্রীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের কাছে তা বিক্রি করেন। যে কাপড় বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, তা দিয়ে শিশুদের পোশাক, গয়নাসহ নানা পণ্য বানিয়ে তা বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। তখন সংগঠনটির ফেসবুক পেজে একটি কোলাজ ছবি আপলোডের পর সমালোচনার ঝড় ওঠে এ সংগঠন নিয়ে।