নীলফামারী সদর উপজেলার মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বসানো হয়েছে গরুর হাট।
গতকাল বুধবার (২১ জুন) কলেজ খোলা থাকলেও সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাট বসান ইজারাদার। তবে জেলা শিক্ষা বিভাগ বলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মাঠে গবাদি পশুর হাট বসানোর সুযোগ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার দুপুর আড়াইটাই কলেজের অফিস কক্ষসহ সব ভবন তালাবদ্ধ ছিল। দেখা মেলেনি কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর। পুরো মাঠজুড়ে বাঁধা আছে গরু। পাশেই ভিড় করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে জমে উঠেছে কোরবানির পশু কেনাবেচা। তার আগেই পুরো মাঠজুড়ে গরু বাধার জন্য পুঁতে রাখা হয়েছিল খুঁটি। এছাড়া কলেজের শহীদ মিনার ও পাশের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালেও বাঁধা ছিল গরু। আগামী রোববারও দিনব্যাপী ওই মাঠে গরুর হাটের আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
গরুর হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারবো না। আমি কিছু জানি না, আমি অনুমতিও দিইনি। মেয়রের (নীলফামারী পৌরসভার মেয়র) সঙ্গে কথা বলেন, উনি আমার কলেজের সভাপতি।
এ বিষয়ে জানতে নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কলেজ মাঠে গরুর হাট বসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন হাট ইজারাদার মো. মিঠু।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে মাঠে গবাদি পশুর হাট বসানোর সুযোগ নেই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে জনস্বার্থে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে হাট বসাতে পারে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, কলেজ মাঠে গরুর হাট বসানোর বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি কোনো অনুমতি দিইনি।
এদিকে, কলেজের মাঠ রক্ষা ও পাঠদান অব্যাহত রাখতে মাঠ থেকে পশুর হাট অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।