নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে বঙ্গভবনে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাথমিক ১০ থেকে ১৫ জনের তালিকাও দেয়া হয়েছে সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার প্রস্তাবে সম্মতি দেন তিনি।
সূত্র মতে, তালিকায় যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তারা হলেন, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, ড. শাহ্দীন মালিক, ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, মো. তৌহিদ হোসেন, শহীদুল্লাহ খান বাদল, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রমুখ। এর বাইরে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি আরও একজন মুক্তিযোদ্ধাসহ দু’জনকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। আর একজন সংখ্যালঘু ও একজন আদিবাসী যুক্ত হতে পারেন।
আরো পড়ুন: ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত
সমন্বয়কদের সূত্রে জানা যায়, ড. ইউনূসের পক্ষ থেকেও তাদের ৩১ সদস্যের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। দেশে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে বাকি উপদেষ্টাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবনার জন্য। সূত্রের দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার হবে ১৫ থেকে ২০ সদস্যের।
বৈঠকের পর বঙ্গভবন থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি। উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দেন। সংকট উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।