লাকসামে মানব পাচারকারী চক্রের কবল থেকে ছয় মাদরাসা ছাত্রকে উদ্ধার ও ২ মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৪ মে) এ ঘটনায় লাকসাম থানায় উদ্ধারকৃত আবু সাঈদের বাবা মো: শাহীন খান চক্রের আটক দুই সদস্যসহ অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামি করে মানব পাচার দমন আইনে মামলা করেছেন।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শনিবার জংশন এলাকার আজমিরি হোটেলের সামনে থেকে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য মো: মোবারক হোসেন (৫০) ও ইমন খান জিলন রায়হানকে (২৭) আটক করা হয়। এ সময় তাদের কবল থেকে চাঁদপুর ওয়ারলেস বাজারের ফজলুল উলূম হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র মো: আবু সাঈদ (১৩), নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমলনগর এলাকার মেহেরাজ হোসেন (১৪), ঢাকা মুগদার মারকাজুল কওমী মাদরাসার ছাত্র মো: শরিফুল ইসলাম (১২), চট্টগ্রামের অলঙ্কার মোড়ের দারুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদরাসার ছাত্র মো: ইমাম হাসান (১৫), চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার জামিয়া ফারুকিয়া এমদাদুল উলূম মাদরাসার ছাত্র মো: তামিম (১৫) ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার মো: ফাহিমকে (১৫) উদ্ধার করা হয়। মানব পাচারকারীরা বিভিন্ন প্রলোভন ও কৌশলের আশ্রয় নিয়ে এ কোমলমতি শিশুদের নিয়ে আসে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, মোবারক হোসেন ও ইমন খানসহ মানব পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যরা পঞ্চগড়, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা টার্গেট করে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের প্রলুব্ধ করে নিজেদের কব্জায় নেয়। পরে তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে পাঠানোসহ শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে কার্যসিদ্ধি করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো: হাবিবুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত আবু সাঈদের বাবা মো: শাহীন খান চক্রের আটক দুই সদস্যসহ অজ্ঞাত আরো একজনকে আসামি করে মানব পাচার দমন আইনে মামলা করেছেন। আসামিদের কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।