২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে এবার শাহবাগ অবরোধসহ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তারা জানান, আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় ভাতার দাবিতে সারাদেশ থেকে আসা পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে অবস্থান করা হবে।
শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরতি শেষে নতুন এ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এসময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের রেসিডেন্ট-এর চিকিৎসক ডা. ইমরান শিকদার বলেন, আমরা এর আগে শাহবাগে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাসে সেখান থেকে ফিরে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে, আশ্বাসের কোনো বাস্তব রূপ আমরা দেখছি না। তাই আমরা নতুন করে আবারও শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, আমরা সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জড়ো হব। আমাদের চিকিৎসকরা সেখানে আসবেন এবং আমরা সকাল ১০টায় সবাইকে নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করব। আর কোনো আশ্বাসেই আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গেটে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। এসময় চিকিৎসকরা ‘ক্ষুধা পেটে সেবা নয়, অধিকার চাই ভিক্ষা নয়’, ‘অনুগ্রহ নয় অধিকার চাই, সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো চাই’, ‘আশ্বাস নয় প্রমাণ চাই, ৫০ হাজার ভাতা চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
চিকিৎসকরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু আমরা আবারও কর্মবিরতিতে ফিরতে বাধ্য হয়েছি। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
প্রসঙ্গত, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে গত ৮ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি এবং অবস্থান ধর্মঘটের ডাক দেন চিকিৎসকরা। এর আগে গত ১৩ জুন বকেয়া ভাতা প্রদান এবং ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের কার্যালয় ভবনের নিচে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এরপর দীর্ঘক্ষণ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের কার্যালয় তারা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের দাবি ও আন্দোলনের মুখে গত ২১ জুন প্রত্যেক চিকিৎসককে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা করে মোট এক হাজার ৩৪৯ জনকে নয় মাসের বকেয়া ভাতা দেওয়া হয়।