দীর্ঘ সাত বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রদের আবাসিক হলে বৈধভাবে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে ছাত্রছাত্রীসহ মোট ১২টি হলের আসন বরাদ্দের ফল প্রকাশ করা হয়। এর পর শনিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা যার যার আসনে উঠতে শুরু করেন। তাদের বরণ করে নেয় হল প্রশাসন।
আলাওল হলে ওঠার সময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৈধভাবে হলে উঠতে পেরে ভালো লাগছে। হলে এখন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারব।’
শহীদ আবদুর রব হলের প্রাধ্যক্ষ এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, হলে উঠতে পেরে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত। আমরাও তাদের বরণ করে নিচ্ছি। তাদের থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ফলের ভিত্তিতে আসন বরাদ্দের কারণে ‘বৈষম্য হয়েছে’ বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। এসব বিষয় নিয়ে শনিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেন উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও আইসিটি সেলের পরিচালক।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি, আসন বরাদ্দের নীতিমালায় ভুল আছে। তবে সীমিত সময়ের মধ্যে আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের হলে উঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা। প্রাথমিকভাবে আমরা হলে ওঠালেও শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করছি। পরবর্তী সময়ে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আবাসিক হল চালু রয়েছে সাতটি। নিয়ম মেনে সর্বশেষ এসব হলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে। এর পর হলগুলোর দখল নেয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ছাত্রদের হলের অধিকাংশ কক্ষই ছিল ছাত্রলীগের দখলে। কোন কক্ষে কে থাকবেন, সেটা নির্ধারণ করত তারা।