সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ চাকরীজীবন শেষ করার পর শিক্ষকতা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমরা পারিবারিকভাবে শিক্ষাকে ভালবাসি। সুযোগ খুঁজবো, মানুষ গ্রহণ করলে শিক্ষকতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করবো।’
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নে বাবার নির্মিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন তিনি।
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দে সেনাবাহিনীর পোশাক গায়ে জড়িয়েছি। দীর্ঘ কর্মজীবনে পোশাকটি পরতে পরতে শরীরের চামড়ার মত হয়ে গেছে, খুলতে হবে ভাবলেই মনটা খারাপ হয়! খুশি এই জন্য, ভালবেসে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলাম। সফলতার সাথে এত বছর চাকরি করে এবং এই বাহিনীর শীর্ষ পদে অর্পিত দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করে শেষ করছি।’
অবসর সময়ের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা আমার খুবই পছন্দের। আমার বাবা শিক্ষক ছিলেন, আমার মেয়ে মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করছেন, আমার ছোট বোনও সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। আমরা পারিবারিকভাবে শিক্ষাকে ভালবাসি। সুযোগ খুঁজবো, মানুষ গ্রহণ করলে শিক্ষকতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে জ্ঞান অর্জন করেছি তার কোন মূল্য থাকবে না যদি অন্যদের মাঝে বিতরণ করতে না পারি।’
দুপুরে হেলিকপ্টার যোগে নড়াইল পৌঁছান সেনাপ্রধান। ট্রাস্ট ব্যাংকের লোহাগড়া শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে ব্যাংকটি ঘুরে দেখেন তিনি। পরে মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে স্থানীয়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ শেষে তার বাবা অধ্যাপক শেখ মো. রোকন উদ্দিন আহমেদের নির্মিত সরকারি মল্লিকপুর ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
এসময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ দেশের ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে তিন বছরের জন্য ২০২১ সালের ২৪ জুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।