অবৈধভাবে স্থাপিত এবং শিক্ষার্থীবিহীন কিছু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিয়মিত কিছু শিক্ষক আবারো তাদের কথিত প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ দাবি করেছেন। দাবি না মানলে এবার তারা ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছেন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল জাতীয় প্রেসকাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ আল্টিমেটাম দেন তারা।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই প্রথমে ৩২ হাজার ও পরবর্তীতে বাদ পড়া আরও
তারা আরও বলা হয়, বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের জন্য তিন বছরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৮১ দিন অবস্থান অনশন কর্মসূচি পালন করেছি। তখন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয়করণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এ অবস্থায় রোববার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এ অবস্থান কর্মসূচি আগামী ৭২ ঘণ্টা চলবে। এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আরও কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও শিক্ষক নেতারা জানান।
অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের সভাপতি বদরুল আমিন সরকার (ফরহাদ), মহাসচিব ফরিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলা রানী দাস, প্রচার সম্পাদক জুয়েল মন্ডল, শফি আহমেদ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ জেলা সভাপতি শামসুল হক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার সাফ বলে দিয়েছেন জাতীয়করণযোগ সব বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। মাত্র ৩ ডজন বিদ্যালয় কোনোভাবে বাদ পড়েছিলো সেগুলোই জাতীয়করণ হবে। ইতোমধ্যে সেগুলো জাতীয়করণ হয়ে গেছে বলেও জানা যায়।
কিন্তু দৈনিক আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায় কিছুদিন পর পর কিছু মানুষ নিজেদের শিক্ষক পরিচয় দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করেন। জানা যায়, তাদের দাবিকৃত বিদ্যালয়গুলোর সবই অবৈধভাবে স্থাপিত এবং শিক্ষার্থীবিহীন।