মান-অভিমান ভুলে সব তাণ্ডবের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজু বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রনেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে রাজধানীতে চালানো তাণ্ডবের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সেই আগুন সন্ত্রাস, সেই সন্ত্রাস কী বীভৎস, কী নারকীয় ধ্বংসলীলা, কী তাণ্ডব, হিংস্রতা এই বাংলাদেশে। ২০১৩, ১৪, ১৫ খ্রিষ্টাব্দেও বাংলাদেশে অনেক মানুষ, অনেক স্থাপনা, এবার তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার যে অর্জন তাতে আাঘাত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই নারকীয় তাণ্ডবের সাথে আজ আমাদের লড়তে হচ্ছে এক সাথে। লড়তে হবে এক সাথে। মান অভিমান সব ভুলে যেতে হবে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে এ সময় মুখোশধারী ও ভণ্ড মুক্তিযোদ্ধা বলে আখ্যা দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘পলাশীতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সাথে সেদিন যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তারা ছিল আপন মানুষ। ঠিক একই চিত্র ৭৫ এর ১৫ আগস্ট।
‘খন্দকার মুশতাকের সঙ্গে সেনাপতি জিয়াউর রহমান ছিল সেই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। ইতিহাসের এই অমোঘ সত্য অস্বীকার করার উপায় নাই। জিয়াউর রহমান ভণ্ড ও মুখোশধারী মুক্তিযোদ্ধা।’
তিনি বলেন, ‘৪ থেকে ৭ নভেম্বর এই দেশে সিপাহী বিপ্লবের নামে শতশত অফিসার জোয়ান হত্যা করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান এসে ফাঁসি দিয়ে কত বাংলাদেশের তরুণ অফিসারকে হত্যা করেছে, সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সেদিন এয়ার ফোর্সের অসংখ্য অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ইতিহাস এখনও আমাদের কাছে সম্পূর্ণ জানা আছে– এ দাবি আমরা করতে পারি না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক অজানা তথ্য এখনও বেরিয়ে আসেনি। সে সময় বঙ্গবন্ধুর বিপ্লবকে প্রতিহত করতে গিয়ে প্রতিবিপ্লব করা হয়েছিল। সেই খুনি মুশতাক, এটাই হলো ইতিহাস। সেই মানুষগুলো কী, এটা আমাদের জানতে হবে। এদের চরিত্র উদঘাটন করতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের (মুশতাক–জিয়া) উত্তরসূরিরা বাংলাদেশে যে নষ্ট রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, জঙ্গিবাদী রাজনীতি প্রবর্তন করেছিল, তা আমাদের জানতে হবে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানলে এদের আসল চেহারা উন্মোচিত হবে।’