উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ে সরকারের আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ।
এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ইউজিসির বাস্তবায়নাধীন হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প এবং ইম্প্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন প্রকল্পের (প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি) পিআইসি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) ইউজিসিতে পৃথকভাবে এ সভা দু’টি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, হিটের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান, আইসিএসইটিইপি’র প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক আকন্দ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউজিসি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রফেসর আসাদুজ্জামান এবং প্রফেসর আমিনুল হক আকন্দ যথাক্রমে হিট ও আইসিএসইটিইপি প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ফায়েজ প্রকল্প দুটি’র কাজ দেরিতে শুরু হলেও যথাসময়ে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও উচ্চশিক্ষায় জাতির প্রত্যাশা পূরণে এ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে ইউজিসি থেকে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় প্রফেসর আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে যেন কোন ধরনের নেতিবাচক প্রশ্ন না ওঠে সেদিকে নজর দিতে হবে। বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান মেনে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। সাধারণ মানুষের কাজে লাগে এমন গবেষণা এই প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন এবং রূপান্তরে হিট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৫০ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং বিশ্ব ব্যাংক ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থায়ন করবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে আইসিটি খাতের উন্নয়নে এবং দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার জন্য গৃহীত আইসিএসইটিপি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের ৮৭.৭২ শতাংশ বহন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার বহন করবে বাকি ১২.২৮ শতাংশ।