প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন শব্দ বিড়ম্বনায় বার বার বিঘ্নিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে শব্দযন্ত্রের জটিলতায় এ বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলন শুরুর আধঘণ্টা পরেই তা ১০-১২ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
এদিন বিকাল সোয়া ৩টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু কথা শুরু হলেও সাংবাদিকরা তা শুনতে পাচ্ছিলেন না। পরে কয়েকজন সাংবাদিক বিষয়টি জানালে যন্ত্রটি ঠিক করা হয়। এরপর আবার কথা বলতে শুরু করেন মন্ত্রী।
এরপর সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন নেয়ার সময় কয়েকটি প্রশ্ন ভালোমত শুনতে পাচ্ছিলেন না অর্থমন্ত্রী। তিনি প্রশ্নের যে জবাব দিচ্ছিলেন অনেক সময় সাংবাদিকরাও তা ভালোমত শুনতে পাচ্ছিলেন না। প্রায় ৩০ মিনিট এভাবেই সংবাদ সম্মেলন চলে।
বেলা পৌনে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্ন একেবারেই শুনতে পাচ্ছিলেন না মঞ্চে বসা অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আওয়াজই পাচ্ছি না।
তখন অর্থমন্ত্রীর বাঁ পাশে বসা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হয় সিস্টেমের মধ্যে ভালো ত্রুটি আছে। আপনারা (সাংবাদিক) যা বলেন আমরা শুনি না, আমরা যা বলি আপনারা শোনেন না।
এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করতে তোড়জোর শুরু করেন। কিন্তু এতেও সমাধান না হলে মিলনায়তনে কিছুটা হট্টগোল তৈরি হয়।
এ সময় মন্ত্রী তাজুল বলেন, সিস্টেমের দোষ! আমাদের এ মুহূর্তে কিছু করার নেই। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে যারা আছেন তারা সিস্টেমটি দেখুন।
হট্টগোলের মধ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনকে চেয়ার থেকে উঠে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। হ্যান্ড মাইক চাইলেও সঙ্গে সঙ্গে তাও দিতে পারেননি আয়োজকরা।
পরে টেলিভিশনের ক্যামেরাগুলো মূল মঞ্চের সামনে সেট করতে বলা হয়। এতে মিলায়তনে উপস্থিত দর্শক ও সাংবাদিকরা খালি চোখে মঞ্চ দেখতে পারছিলেন না। বড় পর্দায় মঞ্চ দেখার সুযোগ থাকলেও কয়েকজনের আপত্তিতে ক্যামেরাগুলোকে আগের জায়গায় ফিরে যেতে বলা হয়।
এভাবে প্রায় ১০-১২ মিনিট বন্ধ থাকার পর বিকাল ৪টার কিছুটা আগে পুনরায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হলেও সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে অস্বস্তি শেষ পর্যন্ত ছিলো।