অল্টম্যানের রুটিনে ১৫ ঘণ্টা উপবাস, ঘুমের ওষুধসহ আরও যা আছে - দৈনিকশিক্ষা

অল্টম্যানের রুটিনে ১৫ ঘণ্টা উপবাস, ঘুমের ওষুধসহ আরও যা আছে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ওপেনএআই-এর সিইও স্যাম অল্টম্যান অফিসের বাইরে অনেক কর্মকর্তার মতোই দীর্ঘায়ু লাভে আচ্ছন্ন এক জীবনযাপন করেন। ঘুম, খাওয়াদাওয়া, কাজের সময়সূচিসহ অনেক ব্যাপারেই তিনি চলেন ঘড়ির কাঁটা ধরে। সবকিছুরই উদ্দেশ্য নিজের কার্যকারিতা বাড়ানো। বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে স্যাম অল্টম্যানের দৈনন্দিন রুটিন। সেখানে বলা হয়েছে, দিনে ১৫ ঘণ্টা উপবাস করেন তিনি। কম ডোজের ঘুমের ওষুধ গ্রহণও রয়েছে তার রুটিনের মধ্যে।

সকাল
অল্টম্যান ২০১৮ খ্রিষ্টাবে লিখেছিলেন যে, ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই এক পেয়ালা এসপ্রেসো কফি পান করেন তিনি। এ ছাড়া খুব কমই সকালের নাস্তা খেতেন। ১৫ ঘণ্টা উপবাসের কথা তিনি সে সময়ই লেখেন।

সকালে ওঠে ১০-১৫ মিনিটে ই-মেইল চেক করার সময় এলইডি বাতি ব্যবহার করেন তিনি। কিছুটা অদ্ভুত হলেও এই বাতির ব্যবহার তার কাজে লাগে বলে জানান অল্টম্যান। সবচেয়ে কর্মক্ষম থাকার সে সময়টাতেই সকালের বৈঠক এড়িয়ে যেতেন তিনি।

কাজের দিনগুলোতে যা করেন
অল্টম্যান বলেছিলেন যে, তিনি সাধারণত বিকেলেই তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পছন্দ করেন। তবে তাদের জন্য সময় বের করার ক্ষেত্রে কিছুটা অপ্রচলিত ভাবনা তার ছিল। অল্টম্যান বলেন, বৈঠকের জন্য ১৫-২০ মিনিট বা ২ ঘণ্টা সময় নির্ধারণকে তিনি সবচেয়ে ভালো মনে করেন। ১ ঘণ্টার সময়ের বৈঠকে প্রায়ই সময় নষ্ট হয়। এর চেয়ে নিজের অফিসে কাজ করাকেই তিনি বেশি প্রাধান্য দেন।

অল্টম্যানের মতে, পরিকল্পনার বাইরের ৯০ শতাংশ বৈঠকেই তার সময় নষ্ট হয়। বাকি ১০ শতাংশ বৈঠক কাজে লাগে। এর পরিবর্তে নতুন মানুষ এবং ধারণার সঙ্গে পরিচিত হওয়াকেই তিনি প্রাধান্য দেন। কোম্পানির কাজের ক্ষেত্রে প্রতিদিনই অনেকগুলো তালিকা তৈরি করেন তিনি। আর এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমের চেয়ে কাগজই বেশি পছন্দ এই প্রযুক্তিবিদের।

অল্টম্যান তার ব্লগে বলেছেন, প্রতি বছর, প্রতি মাস এমনকি প্রতিদিনের লক্ষ্যের কতটুকু অর্জিত হলো সেটারও নজর রাখা হয়। তার তালিকাগুলো এমনভাবে তৈরি করা যাতে একই সময়ে অনেক ধরনের কাজ করার স্বাধীনতা থাকে। কোনো একটি নির্দিষ্ট কাজে আগ্রহ না জাগলে অন্য কিছু করা তখন সহজ হয়—যা সম্পর্কে তখন আগ্রহ বোধ করেন অল্টম্যান।

দুপুরের খাবারের পর আরেক পেয়ালা এসপ্রেসো কফি পান করেন অল্টম্যান।

রাত
নিয়মিত ক্যাফেইন গ্রহণের পরও কর্মক্ষম থাকার জন্য ঘুমকে অনেক গুরুত্ব দেন ওপেনএআই সিইও স্যাম অল্টম্যান। রাতে ঘুমানোর আগে খুব বেশি খাবার খান না তিনি। সে সঙ্গে বলেছেন, অ্যালকোহল বাদ দেওয়াটাও তার কাজে লেগেছে।

শৈশব থেকেই তিনি নিরামিষভোজী। ভালো না লাগলেও সকল খাদ্য উপাদানের অভাব মেটাতে তিনি ঘন ঘন প্রোটিন শেক পান করতেন। বেশি মসলাদার খাবার কিংবা হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন খাবার তিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। খুব বেশি চিনি এবং মিষ্টি খাবার নেই তার পছন্দের তালিকায়।

তিন মাস পরপর রক্ত পরীক্ষা করা তার খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিনের ভারসাম্য রক্ষায় অনেকটাই কাজে লেগেছে। বার্ধক্যের ছাপ কমাতে তিনি ডায়াবেটিসের ওষুধ মেটফরমিন গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘুমের জন্য ঠান্ডা, অন্ধকার ও নীরব কোনো কামরা আর আরামদায়ক ম্যাট্রেস তার প্রিয়। কতক্ষণ ঘুম হলো, কতটা গভীর হলো তা ট্র্যাক করার জন্য ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করেন তিনি। ঘুমের জন্য স্নায়ুগুলো যথেষ্ট শান্ত না হলে কম ডোজের ঘুমের ওষুধ বা গাঁজা গ্রহণ করেন তিনি।

ব্যায়াম
অল্টম্যান বলেন, সপ্তাহে তিনবার এক ঘণ্টা করে ভারী ওজন উত্তোলন এবং মাঝে মাঝে ভারী ব্যায়ামের পক্ষে তিনি। কর্মক্ষম থাকার পাশাপাশি ব্যায়াম তাকে সামগ্রিকভাবে ভালো বোধ করাতে সাহায্য করে।

পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম - dainik shiksha ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় - dainik shiksha এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো - dainik shiksha প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041999816894531