দলের নীতি-আদর্শবিরোধী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার হলেন ব্যবসায়ী আদম তমিজী হক। পাশাপাশি তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চলছে মামলার প্রস্তুতি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, আদম তমিজী হকের বিষয় নিয়ে রবিবার জরুরি বৈঠকে বসে সবার সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাকে বহিষ্কার করার। আজ সোমবার তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই সিঙ্গাপুরে আছেন তাই তাকে আদম তমিজী হককে বহিষ্কার করতে দেরি হয়েছে।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন।
সেই ভিডিওতে আদম তমিজী হককে বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার এক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এদেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
আদম তমিজি হকের অভিযোগ, গাজীপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে চাচা স্থানীয় মতিউর রহমান মতি এবং হক গ্রুপের বরখাস্তকৃত চিফ অপারেশনাল অফিসার (সিওও) মোশফাকুর রহমান রোমেল মিলে ষড়যন্ত্র করছেন।