আওয়ামী লীগের বিরাট বিজয় - দৈনিকশিক্ষা

আওয়ামী লীগের বিরাট বিজয়

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

বাংলাদেশে নির্বাচনের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি।রোববার ২৯৯ আসনে ভোট হয়। এর মধ্যে ২২৩টিতে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

এ নির্বাচনে ৬২টি আসনে জয়ী হয়ে নতুন চমক সৃষ্টি করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১১ আসনে। জয়ের সংখ্যা হিসাব করলে আওয়ামী লীগের পর স্বতন্ত্রদের অবস্থান। জাতীয় পার্টি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে দলগতভাবে বিবেচনায় জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।এ ছাড়া জাসদের মশালের একজন, কল্যাণ পার্টির একজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

রোববার রাত ২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ঘোষিত ২৯৯টি আসনের ফলাফলে প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের এ চিত্র উঠে আসে। এ নির্বাচন বিএনপিসহ ১৬টি রাজনৈতিক দল বর্জন করে। 

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের ২৯৯টি আসনের ৪২ হাজার ২৪টি কেন্দ্রে ভোট  হয়। ভোটগ্রহণ শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত মঞ্চ থেকেও একে একে ফলাফল ঘোষণা করেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বড় মঞ্চ তৈরি করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, ভোটগ্রহণ শুরু থেকেই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় ১৮.৫০ শতাংশ এবং বিকাল ৩টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টায় ২৭.১৫ শতাংশ ভোট পড়ে বলে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। যদিও বিকাল সাড়ে ৫টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, নির্বাচনে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ। তবে ভোটপড়ার ওই হার কমবেশি হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। 

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকে। তারা উদাহরণ টেনে বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ ৩৯টি দল অংশ নিয়েছিল। ওই নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১২টি দল অংশ নেয়। আর বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল বর্জন করে। ওই নির্বাচনে ১৪৭টি আসনে গড়ে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। 

গতকাল অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মধ্যেও কয়েকটি আসনে ভোটগ্রহণে অনিয়ম, প্রভাব বিস্তার ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার মাত্র ১৫ মিনিট আগে বাতিল করে ইসি। জাল ভোট দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হওয়ার দায়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র দখল, জাল ভোটসহ নানা কারণে ১১টি আসনের ২৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, তাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভোটগ্রহণ ভালো হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেন, প্রত্যাশার চেয়ে ভোটগ্রহণ ভালো হয়েছে। এত ভালো ভোট হবে তা আশা করিনি। 

বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করে। ওই সময়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের সহায়তায় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে স্বস্তির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মোটামুটিভাবে নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে আশঙ্কা ছিল, সেটি হয়নি। আমাদের শঙ্কা ছিল ভোটার উপস্থিতি হয়তো আরও অনেক কম হবে। এটার কারণ হচ্ছে একটি জাতীয় নির্বাচনে বড় একটি পক্ষ নির্বাচন বর্জন করে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একটি ট্রেনে আগুনের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। অনেকের মনে এগুলো দেখে এক ধরনের শঙ্কা জাগ্রত হতে পারত যে, নির্বাচনটা সহিংস হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি অনেক ভোটার স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

 

পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম - dainik shiksha ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় - dainik shiksha এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো - dainik shiksha প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045549869537354