ইরানের ইসফাহান শহরে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় শুক্রবার ভোরে। পরে দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বিবিসির মার্কিন সহযোগী সিবিএস নিউজকে তথ্য দেন— ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।
রাজধানী তেহরান থেকে ইসফাহান প্রদেশের দূরত্ব অন্তত সাড়ে তিনশ কিলোমিটার। এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ। কারণ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো এখানে অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমানঘাঁটিও রয়েছে এখানে। আর প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে সেখানকার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘পুরোপুরি নিরাপদেই’ আছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি ‘নির্ভরযোগ্য’ সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে বিবিসি আরো জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের আকাশে তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। আর রয়টার্সের বলছে, দেশের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পর ওই তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়। পরে ড্রোন ধ্বংস করার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিবিসি। ভিডিয়োটি স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে পাওয়া বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
এদিকে সাময়িকভাবে ইরানের আকাশে বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর পুনরায় ফ্লাইট চালু করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, তেহরানের ইমাম খামেনেয়ি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রদেশ ইসফাহানে বিস্ফোরণের পর ইরানের বেশিরভাগ অংশে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।