আগস্ট মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার অন্যান্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে দেশের চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের যে পরিস্থিতি আগস্ট মাসে এ হারে যদি সংক্রমণ বাড়ে ও যদি স্থিতিশীলতা না আসে, তাহলে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার অন্যান্য সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি হতে পারে। ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু সংক্রমণ স্থিতিশীল থাকলেও ঢাকার বাইরে আক্রান্তের হার এখনও বাড়ছে। আগস্টের গত ৮ দিনেই ২০ হাজার ৩৯৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে, যেখানে গত জুলাই মাসে ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার যে ব্যাপারগুলো রয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি রোগীর চিকিৎসা ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা, রোগীরা যেন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে পারে, সেই ব্যবস্থাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সক্রিয়ভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক আছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি রয়েছে ৪২৪ জন। এরপর ঢাকা মেডিকেলে ৩৭৭ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২৭৩ জন এবং ডিএনসিসি হাসপাতালে ২৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ পরিচালক বলেন, ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে এখন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। সেখানে এখনও আমাদের অসংখ্য বেড খালি রয়েছে। এ ছাড়াও আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোতে রোগী আসলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারছে। মুগদা হাসপাতালে আগে যে ক্রাইসিস ছিল, তা কিন্তু এখন আর নেই। ৬০০ বেডের মধ্যে রোগী আছে ৪২৪ জন, যা একসময় আমাদের ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশে জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার অনেক বেশি ছিল। এমনকি আগস্ট মাসে এসেও ডেঙ্গু সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। যা দেশে ডেঙ্গুর অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে।