গ্রামবাসী যখন তারাবির নামাজে তখন শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়িতে তখন শিক্ষিকা ঘুমে বিভোর। আশেপাশে কোনো লোকজনও ছিলেন না। আগুনের লেলিহান শিখা যখন দাউ দাউ করে জ্বলছিলো তখন তা একদল টহল পুলিশের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশভ্যান থামিয়ে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ে টহল পুলিশের দলটি। পুলিশের চিৎকারে এগিয়ে আগে গ্রামবাসী।
শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ স্থানে। পড়ে আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হন তারা। তবে পুড়ে যায় বসত বাড়ির একটি টিনের ঘর। তবে ক্ষতির হাত থেকে বেচে যায় পুরো বাড়িটি।
আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানার বলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বকেদার গ্রামে শাহিবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বাড়িতে। এসময় কচাকাটা থানার টহল পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভায়।
ওই প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবু তালেব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তার ভাই বাড়িতে ছিলেন না আর ভাবি নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আগুন লাগার বিষয়টি কারো নজরে আসেনি। টহল পুলিশের দলটি আগুন দেখে এগিয়ে আসে এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের হাকডাকে অন্যান্য লোকজন আসে এবং সবার সহযোগীতায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়। পুলিশের নজরে না আসলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতো।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, উপ পরিদর্শক (এসআই) রাবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ৮ পুলিশ সদস্যসহ কচাকাটা থানার নিয়মিত টহলদল ওই এলাকায় ছিলো। বাড়িটিতে আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসলে টহল দলের সবাই তৎক্ষণিক আগুন নেভাতে নেমে পড়ে। বালি,পানি দিয়ে আগুন নেভানো চেষ্টা করেন তারা। এসময় বাড়ির একমাত্র নারী সদস্য ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নেয়া হয়। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়।
তিনি আরো বলেন, এসময় ওই বসত বাড়ির একটি ঘর পুড়ে যায়। তবে বড় ধরণের ক্ষতির হাত থেকে বাড়িটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।