ঈদের আগের দিন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছেন পিরোজপুরের ১০ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার। শুক্রবার ওই সব পরিবার ঈদ উদযাপন করছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ৬ গ্রাম, কাউখালী উপজেলার ১টি গ্রাম, নাজিরপুরের ১টি গ্রাম, পিরোজপুর সদরের ২টি গ্রাম এ ঈদ উৎসব হচ্ছে।
জেলার মঠাবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া এ ৬ গ্রামের প্রায় ৬ শতাধিক, জেলার কাউখালী উপজেলার বেতকা, শিয়ালকাঠী ও পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৮০ পরিবার, জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৫০ পরিবার, জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা ও একপাই জুজখোলা গ্রামের প্রায় ৬০ পরিবার ঈদ উদযাপন করছেন।
কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের বেলতলা গ্রামের ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বেলতলার মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের ঈদের নামাজের ইমামতি করেন ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন পান্না সিকদার। সেখানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বিভিন্ন গ্রামের প্রায় শতাধিক পুরুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
জানা গেছে, জেলার মঠবাড়িয়ায় শুক্রবার ৬ শতাধিক পবরবার ঈদ করছেন। আর এ উপলক্ষে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, মাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, চরকগাছিয়া, খেতাছিড়া, সদর ইউনিয়নের সবুজ নগরে ৭ গ্রামে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খন্দকার বাড়ি জামে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় হয় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে।
সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম খন্দকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ওই দিন স্থানীয় ৭টি মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলার নাজিরপুরের শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা ইউপি সদস্য মো. বাবুল খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তারা প্রায় অর্ধশত পরিবারের ৬০ নারী ও পুরুষ স্থানীয় খেজুরতলা বাজারের আল-আমি মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ওই নামাজে ইমামতি করেন
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তারা গত ১৪ বছর ধরে এ মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। তিনি আরো জানান, তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা শুরু করেছিলেন। আর সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) তাদের ২৯টি রোজা পূর্ণ হওয়ায় আজ শুক্রবার ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ আদায় করছেন। ওই মসজিদের নামাজ পড়তে আসেন পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা থেকে ১০-১২জন মুসল্লি।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, মসজিদের সামনের অংশে নামাজ আদায় করছেন পুরুষ মুসল্লিরা। আর পেছনের অংশে নামাজ আদায় করছেন নারীরা।
ওই নামাজে অংশ নেয়া স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য রিক্তা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সবার সঙ্গে নামাজ আদায় করছি। নামাজ শেষে ঈমামের নেতৃত্বে বিশ্বের সবার মঙ্গল কমনা করে দেয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতি বছর সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দুই ঈদ উদযাপন করে থাকেন।