শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের আজকের মধ্যে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, বিরোধী দল যেভাবে এগুচ্ছে আর তারা যেখানেই কোনো কর্মসূচি পালন করছেন সেখানেই আরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে দায়িত্ব কারা নেবে। সে দায়িত্ব কি শিক্ষক নেতৃবৃন্দ নিতে পারবেন। আমি বলছি, শিক্ষকরা যেনো আজকের মধ্যে ক্লাসে ফিরে যান। আমরা তাদের দাবির পক্ষ কাজ শুরু করেছি। যদি তারা মনে করেন কাজ হচ্ছে না তার আবার আসতে পারেন। যখন আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এখানে একটা সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেখানা যারা শিক্ষকদের এখানে বসিয়ে রাখছেন তাদের উদ্দেশ্য কি? তারা শিক্ষকদের জিম্মি করে অন্য কোনো কিছুতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এটা বন্ধ করা উচিত।
বুধবার সকালে রাজধানী ইডেন মহিলা কলেজের ১৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন ও পুকুরের পাড় বাঁধাই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বড় দুই রাজনৈতিক দল রাজপথে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একই দিনে সমাবেশ ডেকেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। বিএনপির মহাসমাবেশ আর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ। একই দিন অন্যান্য দলও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার আন্দোলনরত শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয়করণ একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নির্বাচনের আগে যখন বিরোধীদল আন্দোলন করার নামে নানা কর্মসূচি করছে তখন তারা এ আন্দোলন শুরু করেছেন। উনাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এর পদ্ধতিটা কি হবে সে বিষয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে। সেই সময় উনারা যদি রাস্তায় থাকেন তাহলে বুঝতে হবে উনারা জাতীয়করণ চাওয়ার থেকে উনাদের এজেন্ডা অন্য কিছু আছে।
শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা শিক্ষক, আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন সরকারের অঙ্গীকার। আপনাদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারে অঙ্গীকার। সুতরাং আমি বলবো আপনারা ক্লাসে ফেরত যান, শিক্ষকদের জিম্মি করবেন না।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারি বিষয়টি সিরিয়াসলি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষকরা ঢাকায় আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। যিনি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার স্কুলে কিন্তু ঠিকই ক্লাস চলছে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয়করণের দাবিটা দীর্ঘদিনের। সব শিক্ষক সংগঠনই এটা চেয়েছে, চেয়ে আসছে। কিন্তু জাতীয়করণ কোনো সরল ব্যপার না। এখানে বিসিএস দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া বিসিএস ক্যাডার আছে, ননক্যাডার আছে। পিএসসি ফেস করা সরকারি শিক্ষক আছে। পিএসসি ফেস না করা বেসরকারি শিক্ষকরা আছেন। বেসরকারিদের মধ্যে এমপিওভুক্ত আছেন, ননএমপিও আছেন। ৫৭-৫৮ প্রকারের শিক্ষক আছেন। সেদিন আলোচনা করে দেখলাম জাতীয়করণ সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের মধ্যে নেই। ফলে পরস্পর বিরোধী অনেক কথা এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল ও পরশু জাতীয়করণের বিষয়ে দুইটি কর্মশালা করছি। যেখানে সব শিক্ষক সংগঠনের নেতারা আসবেন। আমি আশা করবো, আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা সে কর্মশালায় আসবেন। সেখানে জাতীয়করণের প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে ‘ব্রেইনস্ট্রোম’ করা হবে।
শিক্ষার সব খবর সবারআগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।