আর্থিক দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন আট বছর আগে। তারপরও নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা। এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। আদালতে একটি মামলাও করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯ বছর আগে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা বিদ্যালয়ের আয়া পদে একটি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়ান। তিনি শম্পা খাতুন নামের এক নারীকে জাল নিয়োগপত্র ধরিয়ে দেন। ওই নিয়োগে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নেন তিনি। নিয়োগের তিনমাস পর চাকরি হারান শম্পা খাতুন। পরে ঘটনা তদন্ত করে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ১ ডিসেম্বর আফসার আলী রানাকে বরখাস্ত করা হয়।
চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরও গত আট বছর ধরে নিয়মিত অফিস করছেন ও বেতন-ভাতা তুলছেন আফসার আলী। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহাদাত হোসেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই ঘটনায় আদালতে একটি মামলাও করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানার মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো জবাব দেননি। একপর্যায়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আর তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পাবন জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালি বলেন, কিছুদিন হলো আমি পাবনায় বদলি হয়ে এসেছি। ঘটনার সময়কাল অনেক আগের। সেজন্য বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে।