দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ : নওগাঁর ধামইরহাটের বড়থা ডি আই ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম খোদাদাদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আটক হন তিনি। এরপর পর ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি গভর্নিংবডি।
গভর্নিংবডির যোগসাজশে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য, টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষকদের হুমকি-ধামকি দেয়াসহ বিভিন্ন সময়ে তাদের শোকজ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, তিনি মাদরাসাটিকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন।
জানা যায়, অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম খোদাদাদ সুরমা মাল্টিপারপাস নামের একটি এনজিও থেকে টাকা উঠান। ওই টাকা পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় তার ৫ মাস কারাদণ্ড দেয় আদালত।
তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে গত ৬ মার্চ তাকে থানা পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। সেইসঙ্গে তাকে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া ডাক্তারি সনদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন, নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন, ১৫ থেকে ১৬ হাজার ইট বিক্রির ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে মসজিদে দান উল্লেখ করেছেন, চকভবানী মৌজার মো. ইউনুছার রহমানের কাছে প্রতিষ্ঠানের ২৫ শতাংশ জমি ৭৫ হাজার টাকায় বন্ধক রেখে অহেতুক কারণ দেখিয়ে তিনি নিজেই টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন।
এবতেদায়ী প্রধান মো. জিয়াউর রহমানের একটি শোকজ দেয় বিধি বহির্ভূতভাবে গত বছরের জুন, জুলাই, আগস্ট মাসের বেতন-ভাতাদি বন্ধ করেন। তবে পরে জুলাই-আগস্ট মাসের বেতন ছেড়ে দিলেও জুন মাসের বেতন-ভাতাদি এখন পর্যন্ত দেননি। এসব কাজ করতে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ গোপনে মনগড়া পকেট কমিটি গঠন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, গভর্নিং বডি আমাকে সিদ্ধান্ত দিলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার সভাপতি শহিদুল ইসলাম কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি বারংবার সদস্যদের উপর দায় দিতে চান।