প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বার ও বেঞ্চ একে অপরের পরিপূরক, প্রতিপক্ষ নয়। আদালত কর্মকর্তা হিসেবে আইনজীবীর কর্তব্য হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আইনের বিধি-বিধানের প্রতি পূর্ণ সম্মান দেখিয়ে আদালতকে সহযোগিতা করা। খেয়াল রাখতে হবে, আদালতে যাতে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, যাতে বিচারপ্রার্থীর মনে আদালত সম্পর্কে দ্বিধা বা সংশয় তৈরি হয়।’
সোমবার (১৫ জুলাই) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি’ প্রধান বিচারপতিকে সংবর্ধনা দেয়।
ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেককেই প্রতিদিন নানা রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অন্যের সঙ্গে লেনদেন করতে হয়। নানা উপাদান ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয়। তাই আমাদের নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে, এই বোঝাপড়ায় আমরা সৎ থাকতে পারছি কি না। নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের অধিকার ও ব্যক্তিগত গণ্ডিতে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছি কিনা।’
মামলা জট নিরসন, দুর্নীতিমুক্ত বিচার বিভাগ গড়ে তোলা এবং বিচার বিভাগের আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে আইনজীবীদের কাছে পরামর্শ ও সহযোগিতা চান প্রধান বিচারপতি ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক ও বর্তমান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।