রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাজধানীর আইচি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হামলায় নারী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতী ঘোষণা করেছেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজ থেকে আইচি মেডিক্যাল কলেজকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়। বিষয়টি জানার পর থেকে শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশনের দাবি জানিয়ে আসছে। এই দাবিতে টানা সাতদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনও করে শিক্ষার্থীরা। তবে তাতে কাজ না হওয়ায় কলেজের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের (এমডি) সাথে আলোচনার দাবি তোলেন তারা।
তবে নানা শর্ত দিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠক করতে অনীহা জানায় আইচি মেডিক্যাল কলেজের এমডি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা শনিবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ঘটনা সামাল দিতে বহিরাগতদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। আইচি মেডিক্যাল কলেজের ম্যানেজার কামরুজ্জামান ও হাসপাতালের ম্যানেজার ইকবালের ইন্ধনে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইচি মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিএমডিসি থেকে যখন আমাদের কলেজকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়; তখন থেকেই আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বিষয়টি সমাধানে আমরা কর্তৃপক্ষকে আলোচনার কথা বললেও তারা তা মেনে নেয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। হঠাৎ করেই বহিরাগতরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী জানান, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ম্যানেজারের ইন্ধনেই আমাদের ওপর এই হামলা চালানো হয়। হামলায় নারী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে আইচি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. লায়লা মাহজাবীন বানুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।