আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলা এবং ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানকে কটূক্তি করায় সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে এ মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. খাদেমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ অক্টোবর আসামি ঊর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকা সত্ত্বেও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লেখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী আখ্যা: শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর সেই ম্যাজিস্ট্রেটকে বরখাস্ত
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। এ ঘটনায় রোববার (৬ অক্টোবর) প্রথমে তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করে সরকার। পরে সোমবার (৭ অক্টোবর) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মানসুর হোসাইন জানান, তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে ওএসডি করার পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (৫ অক্টোবর) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঊর্মি গণমাধ্যমকে জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে তার এই প্রতিক্রিয়া।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ড. এ কে এম এনামুল হক বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদেরকে ৭৯–এর কন্ডাক্ট রুল অনুযায়ী আচরণ করতে হয়। সেখানে সরকারের এমন সমালোচনা করা যাবে না যেখানে জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ককে ইফেক্ট করতে পারে, এটা ২৩ এর এ তে আছে।